রবিবারে মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বিতর্কে স্কুল

স্কুলের অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আসার কথা ছিল। তাই গত ৯ মার্চ মাধ্যমিকের শারীরশিক্ষা পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছিলেন তারাপীঠের তারাতীর্থ বিদ্যামন্দির কর্তৃপক্ষ। সে দিন পার্থবাবু যাননি। অনুষ্ঠান হয়নি, পরীক্ষাও নয়। এতো দিন পরে রবিবার, ছুটির দিনে ওই স্কুলে সেই শারীরশিক্ষার পরীক্ষা হল। যা ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

Advertisement

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

তারাপীঠ শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৫ ০৩:১১
Share:

স্কুলের অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আসার কথা ছিল। তাই গত ৯ মার্চ মাধ্যমিকের শারীরশিক্ষা পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছিলেন তারাপীঠের তারাতীর্থ বিদ্যামন্দির কর্তৃপক্ষ। সে দিন পার্থবাবু যাননি। অনুষ্ঠান হয়নি, পরীক্ষাও নয়। এতো দিন পরে রবিবার, ছুটির দিনে ওই স্কুলে সেই শারীরশিক্ষার পরীক্ষা হল। যা ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

Advertisement

পার্থবাবু ওই স্কুলে যান গত ১০ মার্চ। এত দিন পরে, রবিবার সেই পরীক্ষা হল শুনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “মাধ্যমিকের পরীক্ষার দিনে অনুষ্ঠান পড়ছে জেনেই আমি ৯ মার্চ ওখানে যাইনি। যদি জানতাম, আমি না যাওয়ার পরেও স্কুলে অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য পরীক্ষা হচ্ছে না, তা হলে নিষেধ করতে পারতাম!”

প্রধান শিক্ষক সুজয়কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, “স্কুল উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হওয়ায় গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিক্ষামন্ত্রীর আসার কথা ছিল। তাই পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরীক্ষকের সঙ্গে কথা বলে তাঁর উপস্থিতিতে রবিবার পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ ভাবে পরীক্ষা নেওয়া হয়তো বেআইনি। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থেই তা করা হল।”

Advertisement

এ দিন সকাল ১১টার পরে ওই স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, চত্বরে শারীরশিক্ষার পরীক্ষা চলছে। মাঠে হাজির ৫৮ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। প্রধান শিক্ষকের অফিস-ঘরে বিষয়ের রামপুরহাট মহকুমার মুখ্য পরীক্ষক নুরুল হক উপস্থিত। এতো দিন পরে এ ভাবে পরীক্ষায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক অভিভাবকই। তাঁদের অভিযোগ, রবিবার ছুটির দিনে যে পরীক্ষা নেওয়া হল, সেটা অন্যায়। কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ নিশ্চয় পর্ষদের কাছে স্কুল চালু ছিল এমন একটা দিনে পরীক্ষা হয়েছিল বলে দেখাবে।

ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলার অন্য কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরাও। তাঁরা জানান, সাধারণত স্কুলের ‘ওয়ার্কিং-ডে’তে পরীক্ষা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ রবিবার পরীক্ষা নিয়ে বেআইনি করেছেন বলে তাঁদের অভিযোগ। তৃণমূল প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি প্রলয় নায়েক বলেন, “রবিবার সাধারণত পরীক্ষা নেওয়া যায় না। এখন কী কারণে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, সে ব্যপারে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।”

তবে, শারীরশিক্ষার ২০ নম্বরের পরীক্ষা স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের মতো করে আয়োজন করতে পারেন বলে শিক্ষা দফতরের বক্তব্য। জেলা শিক্ষা দফতরের সহকারী স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সুফিয়ার রহমানের দাবি, “স্কুলের কোনও ম্যানুয়াল বই এ রবিবার পরীক্ষা নিতে পারবে না, এই সংক্রান্ত কোনও বিধিবদ্ধ আইন নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন