তিন জেলায় কাজে

স্থানীয়দের অগ্রাধিকার চান মমতা

পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর— জঙ্গলমহলের তিন জেলার চাকরিগুলোতে স্থানীয় ছেলেমেয়েরা অগ্রাধিকার পান— এমনটাই চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৪৩
Share:

পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর— জঙ্গলমহলের তিন জেলার চাকরিগুলোতে স্থানীয় ছেলেমেয়েরা অগ্রাধিকার পান— এমনটাই চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া ১ ব্লকের বেলকুঁড়ি হাট ময়দানের প্রশাসনিক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই জেলায় ৩৩ হাজারের বেশি স্থানীয় ছেলেমেয়েরা পুলিশের বিভিন্ন জায়গায় কাজ পেয়েছেন। স্থানীয় ছেলেমেয়েরা পেয়েছে, এটা মাথায় রাখবেন। আমি নিশ্চয় চাই, স্থানীয় ভাবে যে সমস্ত চাকরি হবে, লোকাল ছেলেমেয়েদের তাতে সুযোগ থাকা উচিত।’’ তাঁর যুক্তি, ‘‘যখন কোনও চাকরিবাকরি হচ্ছে, দেখতে পাচ্ছি, অন্য জেলা এখান থেকে নিয়ে চলে যাচ্ছে। অন্য জেলারও (চাকরি) হোক। তাঁদের আলাদা কোটা থাকবে। প্রত্যেক জেলা তার নিজস্বতা নিয়ে থাকবে। সব জেলাকেই করে দেব। কিন্তু আমি চাইব, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চাকরিগুলোতে স্থানীয় ছেলেমেয়েরা অগ্রাধিকার পাক।’’

কোন ধরনের চাকরির ক্ষেত্রে জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, তা সরাসরি না বললেও মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘জঙ্গলের কাজ আমি যেমন মনে করি, জঙ্গলের আশেপাশে যে সমস্ত ছেলেমেয়েরা আছেন তাঁদের নেওয়া উচিত। তাঁরা জঙ্গলটা যত ভাল বোঝেন, অন্যেরা কি বাইরে থেকে এসে বুঝবেন? সুতরাং স্থানীয় ছেলেমেয়েদের সুযোগ দেওয়া উচিত।’’ তাঁর মন্তব্য শুনে বাঘমুণ্ডির কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছি, যে পুরুলিয়ার ছেলেমেয়েদের স্থানীয় চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ দেওয়া হোক। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী সেই মর্মে ঘোষণা করেছেন বলে শুনলাম। বিশদে জানি না। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছি।’’

Advertisement

তফসিলি জাতি, উপজাতির ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার পাশে দাঁড়াবে বলেও এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘তফসিলি জাতি, উপজাতি ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতে চাইলে উচ্চশিক্ষার জন্য রাজ্য সরকার অর্থ দিয়ে সাহায্য করবে। দেশের মধ্যে এই টাকার পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকা, দেশের বাইরে ২০ লক্ষ টাকা।’’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় সাঁওতালি ভাষাকে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

আদিবাসী কুর্মি সমাজের প্রতিনিধিরা এ দিন দুপুরে সার্কিট হাউসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সংগঠনের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত মাহাতো বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে আমাদের নানা সমস্যার কথা বলেছি। তিনি পদক্ষেপ করলে খুশি হব।’’

শিক্ষাক্ষেত্রে পুরুলিয়া যে এগোচ্ছে তাও ফের উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, আইটিআই, পলিটেকনিকের পাশাপাশি মেডিক্যাল কলেজ গড়ে উঠছে তাও সভা থেকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন সভা থেকেই পুরুলিয়ায় মেডিক্যাল কলেজের শিলান্যাসও করেছেন। ১৬১ কোটি টাকায় এই মেডিক্যাল কলেজ গড়ে উঠবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন