উৎসব: ইদের আগে কেনাকাটার ব্যস্ততা বিষ্ণুপুর বাজারে।
ছিল নেহাতই একটা কেজো বৈঠক। প্রশাসনের রীতি মেনে রথ এবং ইদ নিয়ে আলোচনা। সেখানে দুই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের আলোচনায় সব কিছু ছাপিয়ে সম্প্রীতির সুরই মুখ্য হয়ে উঠল।
রথযাত্রা এবং ইদ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য মানবাজার থানার উদ্যোগে শুক্রবার একটি বৈঠক ছিল। যোগ দিয়েছিলেন থানা এলাকার বিভিন্ন প্রান্তের দুই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। ওই বৈঠকে পাথরকাটা মসজিদ কমিটির পক্ষে শেখ সিরাজ স্মৃতি হাতড়ে বলেন, ‘‘তখন আমি খুব ছোট। দাদুর কাঁধে চড়ে রথ দেখতে আসতাম। এখন রথ যাত্রার ভিড় নিয়ন্ত্রণে আমার মত অনেকেই হাতে হাত দিয়ে ভিড় আগলাই। কখনো মনে হয়নি এটা আমাদের উৎসব নয়।’’
আবার মানবাজারের বাসিন্দা প্রদীপ চৌধুরী বলেন, ‘‘মহরমের সময়ে লাঠি খেলা দেখতে গিয়ে এক বন্ধুর কাছে লাঠি চেয়ে নিয়ে আমিও খেলায় যোগ দিয়েছি। তখন কোনও দ্বিধা বা সঙ্কোচ ছিল না, এখনও নেই।’’
সেজে উঠছে বাঁকুড়ার বড়রথ। নিজস্ব চিত্র ।
বলুডির বাসিন্দা বাণীপদ কুম্ভকারের মতে, মানবাজারে শতাব্দী প্রাচীন সম্প্রীতির পরিবেশ এক দিনে গড়ে ওঠেনি । দুই গোষ্ঠীর পারস্পরিক আস্থা থেকে এই পরিবেশ গড়ে উঠেছে। একই সঙ্গে তিনি মনে করছেন, কোনও গুজব যাতে না ছ়ড়াতে পারে সে জন্য সবার সতর্ক থাকা দরকার। বৈঠকে তিনি পারমর্শ দেন, কোন গুজব বা প্রচার সম্পর্কে ভাল ভাবে খোঁজ নিয়ে তারপরে পদক্ষেপ করা দরকার।
এ দিন বৈঠকে জয়েন্ট বিডিও (মানবাজার ১) অপূর্ব কর্মকার বলেন, এই ব্লক এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অটুট রয়েছে। কোথাও কোনও অশান্তির খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের নজরে আনার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন তিনি। বৈঠকে সিআই (মানবাজার) সুবীর কর্মকার, ওসি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।