জন্মজয়ন্তীতে উৎসব, স্মরণে সুভাষ

যুব কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে বাঁকুড়া শহরে প্রভাতফেরি হয়। বাঁকুড়া মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের মাঠে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৫৩
Share:

শ্রদ্ধা: মানবাজারের গোবিন্দপুর প্রাথমিক স্কুলে।—নিজস্ব চিত্র।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী নানা ভাবে পালিত হল বুধবার। কোথাও প্রশাসন থেকে, কোথাও আবার বিভিন্ন সংস্থা, ক্লাব নেতাজিকে স্মরণ করল নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে।

Advertisement

যুব কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে বাঁকুড়া শহরে প্রভাতফেরি হয়। বাঁকুড়া মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের মাঠে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাঁকুড়ার ‘সানবাঁধা লোকবৃত্ত সাংস্কৃতিক উৎসব’-এর উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সোনামুখীর বরিষ্ঠ নাগরিক সমাজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভা করে। বাঁকুড়ার ড্যাফোডিলস স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা হয়। বড়জোড়ার সাহারজোড়া উচ্চবিদ্যালয়ে হয় ‘সুভাষ উৎসব’। বড়জোড়ার বৃন্দাবনপুরে হয় স্বাস্থ্য শিবির।

বিষ্ণুপুর মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অফিসে অনুষ্ঠান হয়। বিষ্ণুপুর শহর লাগোয়া যমুনাবাঁধ কলোনির স্পোটিং ক্লাব প্রভাতফেরি ও পঙ্‌ক্তিভোজের আয়োজন করে। বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন ব্লকের দুঃস্থ প্রতিবন্ধীদের নিয়ে অনুষ্ঠানের অয়োজন করে জয়পুরের একটি সংস্থা। প্রতিবন্ধীদের শীতবস্ত্র দেওয়া হয়।

Advertisement

খাতড়ার কেচন্দা ভিপিএ বিদ্যাপীঠে নেতাজি জন্মজয়ন্তী ও স্কুলের ৫৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের উদ্বোধন করেন সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু। তিনি পড়ুয়াদের নেতাজির আদর্শে অনু্প্রাণিত হতে উৎসাহিত করেন। দু’টি অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষের উদ্বোধন করা হয়। পড়ুয়ারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে। ইঁদপুরের সরোজিনী বালিকা বিদ্যালয়ে ‘সুভাষ উৎসবে’ দেশাত্মবোধক গান, নাচ পরিবেশিত হয়।

খাতড়ার গুরুসদয় মঞ্চে শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠান হয়। শহরের বাজার ষোলোআনা দুর্গামেলার পাশে নেতাজি মূর্তির পাদদেশে অনুষ্ঠানে যোগ দেয় খাতড়া উচ্চ বিদ্যালয়, উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কংসাবতী শিশু বিদ্যালয় (মাধ্যমিক)-সহ বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা। পাম্পমোড়েও অনুষ্ঠান হয়। সিমলাপাল মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভা হয়। সোনামুখী ব্লকের সভাঘরে নেতাজি-স্মরণ হয়।

পুরুলিয়া শহরে সুভাষ উদ্যানে নেতাজির মূর্তিতে মালা দেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) নবকুমার বর্মণ। অনুষ্ঠান হয়, শহরের শান্তময়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। শোভাযাত্রার পরে নেতাজি বিদ্যাপীঠে শুরু হয় ‘সুভাষ উৎসব’। জয়পুর আরবিবি উচ্চ বিদ্যালয়ে নেতাজির আবক্ষ মূর্তি স্থাপিত হয়। ঝালদা শহরে প্রভাতফেরি হয়। পুরএলাকায় শুরু হয়েছে ‘সুভাষ উৎসব’।

রঘুনাথপুর ১ ব্লকের বাবুগ্রাম হাইস্কুল থেকে প্রভাতফেরি বার হয়। পরে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মৃদুল শ্রীমানি। রঘুনাথপুর ২ ব্লকের চেলিয়ামায় নবদিশা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী প্রভাতফেরি ও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানান। ওই ব্লকের ক্ষুদিরাম স্মৃতি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে কামারগোড়া গ্রামেও প্রভাতফেরি হয়। রঘুনাথপুর শহরের বাজারপাড়া দুর্গামন্দিরে নেতাজি-স্মরণ করে বিবেকানন্দ পাঠচক্র।

ডিএসও শালতোড়ার লক্ষ্মণপুরে, ছাতনার চাঁদড়া, সোনামুখী চৌমাথা মোড়, বাঁকুড়ার মাচানতলা এবং রঘুনাথপুর, কাশীপুর, আদ্রা, হুড়া, পুরুলিয়া শহর, বাঘমুণ্ডি, আড়শা-সহ বিভিন্ন জায়গায় নেতাজির জন্মদিবস পালন করে। ঝালদা হাসপাতালে রোগীদের হাতে ফল তুলে দেয় ফরওয়ার্ড ব্লক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন