উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে সিপিএম পরিচালিত মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির অপসারণের সভা হল বুধবার মুরারই ২ ব্লক অফিসে।
তৃণমূলের দাবি, সভাপতি অপসারণের সভায় তৃণমূলের ৪ জন, কংগ্রেসের ৭ জন, সিপিএম-এর ৪ জন, ফরওয়ার্ড ব্লকের ২ জন মোট ১৭ জন সদস্য পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অপসারণের সভায় ছিলেন। অন্যদিকে মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের আলি রেজা জানান, সভাপতির বিরুদ্ধে যে দিন অনাস্থা জমা পড়ে সেদিনই মহকুমাশাসক ৫ এপ্রিল অনাস্থার সভা করার দিন ধার্য করে সভাপতিকে চিঠি করেন।
়তিনি বলেন, ‘‘মহকুমা শাসকের নির্দেশের বিরুদ্ধে আমি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়। মঙ্গলবার উচ্চ আদালত নির্দেশ দেন সভাপতির বিরদ্ধে আনা অনাস্থার সভা নির্ধারিত দিনে হবে। কিন্তু পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত কোনও ফলাফল ঘোষণা করা যাবে না। পাশাপাশি সভাপতি অপসারিত হবে না।’’
মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই যা কিছু হবে। বিষয়টি যেহেতু আদালতে বিচারাধীন সুতরাং এর বেশি কিছু মন্তব্য করা যাবে না।’’
উল্লেখ্য ২৭ সদস্যের মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ছিল সিপিএম ১০, কংগ্রেস ৯, ফরওয়ার্ড ব্লক ৪, তৃণমূল ৪।
এবং বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের ৭ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও তৃণমূল ক্ষমতা দখলের জন্য দলের ৪ সদস্য এবং কংগ্রেসের ৭ সদস্যকে নিয়ে মোট ১১ সদস্য পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে।
বুধবার ওই ১১ সদস্য পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সিধুনাথ মণ্ডলের বিরুদ্ধে অনাস্থা জমা দেয় বলে তৃণমূলের রামপুরহাট মহকুমা পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্য জানান।