পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দুই জেলায় গিয়ে কড়া জ্যোতিপ্রিয়

ধনীদের দু’টাকার চাল নয়

দু’টাকা কেজি চাল প্রাপকদের তালিকায় বিত্তশালীদের নাম যাতে কোনও ভাবেই ঢুকতে না পারে, সে জন্য বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনকে সজাগ থাকতে নির্দেশ দিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৮ ০০:২৩
Share:

দু’টাকা কেজি চাল প্রাপকদের তালিকায় বিত্তশালীদের নাম যাতে কোনও ভাবেই ঢুকতে না পারে, সে জন্য বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনকে সজাগ থাকতে নির্দেশ দিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এমনকী, কোনও জনপ্রতিনিধি নিয়ম ভেঙে ওই সুবিধা যদি কাউকে পাইয়ে দিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করে বা চাপ দেয়, তাও গ্রাহ্য করতে নিষেধ করলেন তিনি।

Advertisement

সোমবার সকালে বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে জেলা প্রশাসন ও রেশন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিক, ডিলার-ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে বৈঠকে এই নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী। পরে তিনি বলেন, ‘‘দু’টাকা কেজি চালের উপভোক্তার তালিকায় জনপ্রতিনিধিরা বেআইনি ভাবে কোনও অবস্থাপন্ন লোককে ঢোকাতে পারবেন না। আমি ভোটের জন্য চারটি অবস্থাপন্ন লোককে রেশন কার্ড দিয়ে দেব, এটা বরদাস্ত করা হবে না।’’

তিনি জানান, কোনও ব্যক্তি যগি রেশন কার্ড বা দু’টাকা কিলো চালের জন্য আবেদন করেন, তাহলে সেই আবেদন বিডিও-র কাছে যাবেই। বিডিও-র তরফেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, তা ভাল করে খতিয়ে দেখতে হবে।

Advertisement

বৈঠক থেকে বেরিয়ে জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘খাদ্যমন্ত্রী দু’টাকা কিলো চালের উপভোক্তা নির্ণয়ের আগে বিডিওদের খোঁজখবর করতে বলেছেন। তা যাতে ঠিক ভাবে হয়, আমরা নজরে রাখব।’’

এ দিন রেশন ব্যবস্থা নিয়েও কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘রেশন দোকানে খাদ্য দ্রব্যের মান এবং মজুতের পরিমাণ লিখে রাখতে হবে বোর্ডে। কোনও অসুবিধা হলে, গ্রাহকেরা যাতে নির্দিষ্ট জায়গায় ফোন করতে পারেন, সে জন্য খাদ্য দফতরের টোল ফ্রি নম্বরও উল্লেখ করতে হবে ওই বোর্ডে।’’

মাসখানেক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামে জেলা সফরে এসে রেশন ব্যবস্থা নিয়ে কড়া ভাবে সর্তক করে যান প্রশাসনকে। তারপর থেকেই লাগোয়া দুই জেলা বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াতেও বেশন নিয়ে প্রশাসন সজাগ হয়েছে।

দুই জেলাতেই রেশন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটরদের নিয়ে বৈঠক করে এক গুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে বিষ্ণুপুর ও পুরুলিয়ার এলাকার কিছু এলাকায় পচা চাল গ্রাহকদের বিলি করা হয়ে বলে অভিযোগ। রেশন ডিলারদের সংগঠনের তরফে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, কোথাও নিম্নমানের খাদ্য দ্রব্য দেওয়া হলে তা সরাসরি ডিস্ট্রিবিউটরদের ফেরত দিতে হবে। দুই জেলাতেই রেশনে বিলি করা আটার মান নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে।

এ দিন খাদ্যমন্ত্রী বাঁকুড়ার জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুকে জেলার আটা কলগুলিতে পরিদর্শনে যেতে নির্দেশ দেন। আটার গুণগত মান খারাপ হলে, খাদ্য দফতর রেশনে আটার বদলে গম বিলি করতে পারে বলে এ দিন জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘‘রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্য পঞ্চায়েত ভোটের পরপরই সব রেশন দোকানে একটি বিশেষ মেশিন বসানো হবে। তাতে কোনও গ্রাহককে কী জিনিস, কত পরিমাণে দেবে তা সরসারি খাদ্য দফতরে চলে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন