মহম্মদ রফিকুল শেখ। নিজস্ব চিত্র
উদ্ধার হওয়া এক বালকের ঠিকানা খুঁজে দিতে তৎপর হল বীরভূম জেলা প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে বকুনি খেয়ে মুর্শিদাবাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে কোনও ভাবে বীরভূমে পৌঁছে গিয়েছিল বছর এগারোর এক বালক। নাম মহম্মদ রফিকুল শেখ। মহম্মদবাজার পুলিশের তৎপরতায় বৃহস্পতিবার বিকেলে সিউড়ি চাইল্ডলাইনের হেফাজতে পৌঁছয় বাচ্চাটি। বীরভূম জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি শুক্রবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সোমবারই মুর্শিদাবাদ চাইল্ড ওয়েলফেরায় কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হবে তাকে। জেলা সিডব্লুউসির চেয়ারম্যান নিত্যানন্দ রায় জানান, আপাতত সিউড়ির একটি সরকারি হোমে রয়েছে ছেলেটি।
পুলিশ ও সিউড়ি চাইল্ডলাইন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগে মহম্মদবাজার এলাকায় ইতস্তত চলাফেরা করতে গিয়েই বাচ্চাটি পুলিশের নজরে আসে। প্রথমে ঠিক ছিল, ঠিকানা জেনে পুলিশই বাড়ি দিয়ে আসবে। কিন্তু যে ঠিকানা ছেলেটি জানিয়েছিল, সেখানে গিয়ে সেটা খুঁজে না পাওয়ার কারণেই পুলিশ সিউড়ি চাউল্ডলাইনের হেফাজতে দেয় বালকটিকে। সিউড়ি চাইল্ড লাইনের পক্ষে ফরিদা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের ঠিক কোথায় থাকে, সেটা জানার পরই বিষয়টি জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে জানানো হয়।
চাইল্ডলাইনের কাছে বাচ্চাটি জানিয়েছে, বহরমপুর থানা এলাকায় তার বাড়ি। মা খুরশিদা বিবি ও তিন ভাইবোনের সঙ্গে সেখানেই থাকত। বাবা কেয়ামত আলি আরবে কাজ করেন। সে নিজে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়াশোনো করেছে। সেই পড়াশোনো নিয়েই দাদারা বকাঝকা করলে সে পালিয়ে শিলিগুড়ি যাব বলে বাস ধরে। তারপর কোনও ভাবে মহম্মদবাজারে এসে পৌঁছয়।