তদন্তে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
দুই বোনের গলা কাটা দেহ মিলল বাড়িতেই। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ মহম্মদবাজারের কাঁইজুলি বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের লাগোয়াই বাড়ি। খুবই ব্যস্ত এলাকা।
নিহতদের নাম সুস্মিতা সাধু (১৫) এবং পুষ্পিতা সাধু (১২)। দু’জনেই স্থানীয় ডাক্তার সুধাকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল। স্থানীয় সূত্রের খবর, নিহতদের বাবা, পেশায় রেলকর্মী দেবাশিস সাধু কর্মসূত্রে রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরে। মা ও দুই মেয়ে বাড়িতে থাকতেন। এ দিন বিকেলের দিকে দেবাশিসবাবুর স্ত্রী অপর্ণাদেবী বেরিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিল দুই মেয়ে। সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়ি ফিরে প্রথমে ছোট মেয়ের রক্তাক্ত দেহ দেখে চিৎকার করে ওঠেন অপর্ণাদেবী। পড়শিরা ছুটে আসেন। দেহের পাশে রাখা থালায় তখনও অর্ধেকটা ভাত রয়েছে। এ বার বড় মেয়ের খোঁজ করতেই দেখা যায়, দোতলায় ওঠার সিঁড়িতে পড়ে সুস্মিতার দেহ। তারও গলার নলি কাটা। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারপাশ। গলায় তখনও আটকে রয়েছে বঁটি!
সামান্য দূরেই মহম্মদবাজার থানা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহ দু’টি উদ্ধার করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতে ভিড় উপচে পড়ে ওই বাড়িতে। মহম্মদবাজারের ব্যস্ততম এলাকায় ভর সন্ধ্যায় এই জোড়া খুনের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খুনের কারণ পুলিশের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়। আততায়ী এই পরিবারের পরিচিত করা হওয়ার সম্ভাবনাও পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের একই সন্দেহ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের আরও অনুমান, আততায়ী চুরি বা ডাকাতির উদ্দেশ্যে বাড়িতে ঢোকেনি। পরিকল্পনা করেই মারা হয়েছে দুই বোনকে। ঘটনার পর থেকেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছেন অপর্ণাদেবী। দেবাশিসবাবুর বাড়ির পাশেই থাকেন ছোট ভাই সুভাষ সাধু। জাতীয় সড়কের উল্টো দিকেই বাড়ি অপর্ণাদেবীর ভাইয়ের। তাঁকে সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিবারের কেউই কথা বলার অবস্থায় নেই।