চাঁদা চেয়ে জুলুম, নিগৃহীত হতে হল ম্যাজিস্ট্রেটকেও!

কাজ সেরে ফিরছিলেন বাড়ি। জায়গাটিও কোন অজ পাড়া গাঁয়ে নয়। বীরভূমের সিউড়ি শহরে। কিন্তু কালীপুজোর চাঁদার জুলুমের শিকার যে তাঁর মতো বিচারকও হবেন তা বোধহয় ভাবতেই পারেননি সিউড়ি আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৫ ১৫:৫৪
Share:

ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়।

কাজ সেরে ফিরছিলেন বাড়ি। জায়গাটিও কোন অজ পাড়া গাঁয়ে নয়। বীরভূমের সিউড়ি শহরে। কিন্তু কালীপুজোর চাঁদার জুলুমের শিকার যে তাঁর মতো বিচারকও হবেন তা বোধহয় ভাবতেই পারেননি সিউড়ি আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়। চাঁদা চেয়ে তাঁর এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর উপর চড়াও হয় কয়েক জন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে।

Advertisement

ইন্দ্রনীলবাবুর অভিযোগ, শহরের মধ্যে শাসক দলের কার্যালয়ের পাশে স্থানীয় কয়েক জন যুবক মিলে কালীপুজোর চাঁদা তুলছিল। রবিবার রাত সাড়ে দশটার সময় ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর গাড়ি থামায় ওই যুবকেরা। অভিযোগ, চাঁদা চায় ওই যুবকেরা। বিচারকের নিরাপত্তারক্ষী প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর করা হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় তাঁর কাপড়চোপড়। টানা হেঁচড়া করা হয় বিচারক ইন্দ্রনীলবাবুকেও। ওই রাতেই তিনি পুলিশকে মৌখিক ভাবে বিষয়টি জানান। কিন্তু তখন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সোমবার দুপুরে পুলিশের কাছে তাঁর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ইন্দ্রনীলবাবু। এর পর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। ছুটিতে আছেন জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার। তাই তাঁর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন সিউড়ি আদালতের আইনজীবী এবং কর্মীরা। বার কাউন্সিলের সভাপতি গৌরহরি চন্দ্র বলেন, ‘চাঁদার জুলুমে এক জন বিচারকেরই যদি এই অবস্থা হয়। তবে সাধারণ মানুষের কী হবে?’

Advertisement

এখানেই ঘটে ঘটনাটি।

‘ট্রাকের বনেটে লাঠি দিয়ে
মারতে মারতে এগিয়ে আসছে তারা’

সবিস্তার জানতে ক্লিক করুন

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement