এক মাসে ১০০ পঞ্চায়েতে শৌচাগার নির্মাণের উদ্যোগ

রাজ্য জুড়ে ‘মিশন নির্মল বাংলা’ দিবসের আনুষ্ঠানিক সূচনা আজ বৃহস্পতিবার। নদিয়ার একটি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে গোটা রাজ্যে প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিউড়ির তিলপাড়া এলাকার শ্রী রামকৃষ্ণ শিল্প বিদ্যাপীঠে অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন তথা জেলা পরিষদ।

Advertisement

অরুণ মুখোপাধ্যায়

সিউড়ি শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৪৬
Share:

রাজ্য জুড়ে ‘মিশন নির্মল বাংলা’ দিবসের আনুষ্ঠানিক সূচনা আজ বৃহস্পতিবার। নদিয়ার একটি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে গোটা রাজ্যে প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিউড়ির তিলপাড়া এলাকার শ্রী রামকৃষ্ণ শিল্প বিদ্যাপীঠে অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন তথা জেলা পরিষদ।

Advertisement

বীরভূমকে নির্মল জেলা হিসাবে গড়ে তুলতে বীরভূম জেলা প্রশাসন তথা জেলা পরিষদ গত এক বছর ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে। বীরভূমের জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী জানান, এ দিন ‘নির্মল বাংলা দিবস’ অনুষ্ঠানে সব ধরনের মানুষকে শৌচাগার নির্মাণ করার জন্য উৎসাহিত করতে ইমাম, পুরোহিত, জানগুরু প্রভৃতি ধর্মের গুরুদের হাজির করে বক্তব্য রাখতে অনুরোধ করা হবে।’’ অনুষ্ঠানে জেলার ছাত্রছাত্রীরাও যোগ দেবেন।

বর্তমানে জেলার পাঁচটি পঞ্চায়েতের প্রতিটি বাড়িতেই শৌচাগার তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা পরিষদের অতিরিক্ত জেলাশাসক বিধান রায়। তিনি বলেন, ‘‘আগামী এক মাসের মধ্যে জেলা আরও ১০০ টি পঞ্চায়েতের প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সরকারি ও নানা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।’’

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় যে সমস্ত গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে সম্পূর্ণ শৌচাগার তৈরি হইনি সেখানে অভিনব পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় লিখিত পোস্টারও দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তাতে গ্রামের যত্রতত্র মলত্যাগ করতে নিষেধ করা হচ্ছে যেমন, করলে জরিমানার কথাও লেখা হচ্ছে। ঠিক হয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত বা প্রশাসন নয়, গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে গ্রামের মধ্যে টাঙানো হবে ওই পোস্টারগুলি।

ঘটনা হল, এক সময়ে সাক্ষরতা অভিযান নিয়ে সরকারি ভাবে চরম জালিয়াতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। নির্মল গ্রাম নিয়েও, গত দশ বছর ধরে চূড়ান্ত ভাবে জালিয়াতি হয়েছে বলেও, স্বীকার করে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। বিধানবাবু জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীকে পাশে বসিয়েই ওই অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন, ‘‘সরকারি ভাবে এই জেলাতে পাঁচলক্ষ বাড়িতে শৌচাগার তৈরি হয়েছে বলে রিপোর্ট রয়েছে। কিন্তু তদন্ত করে দেখা গিয়েছে, ওই রিপোর্টের পঞ্চাশ শতাংশ বাড়িতেই শৌচাগার তৈরি হইনি। আবার কোথাও কোথাও শৌচাগার তৈরি হলেও, তা ব্যবহার করা হয় না।’’

বীরভূমের জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘‘খয়রাশোল, মাড়গ্রাম-এক, মল্লারপুর-এক, বোলপুরের রাইপুর-সুপুর ও সিউড়ি তিলপাড়া পঞ্চায়েতে প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার তৈরি হয়েছে এবং তা ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই জন্য ওই পঞ্চায়েত গুলিকে এ দিন এক লক্ষ টাকা করে পুরষ্কার দেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন