Birbhum

Teachers: দশ হাজারের বেশি শিক্ষক চাই জেলায়, দাবি

পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির পক্ষে অধীর দাস বলেন, “উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে শহরাঞ্চলে নিজেদের বাড়ির কাছে বদলি হওয়ার পরে বহু স্কুলে শিক্ষক নেই।”

Advertisement

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২২ ০৫:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

শিক্ষকের চাকরিতে আসন খালি কটি তা ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে বলে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে সোমবার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement

বীরভূম জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে প্রাথমিক, আপার প্রাইমারি, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সেই তালিকা তৈরি করে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরে পাঠানো হয়েছে। তবে সেই তালিকায় সংখ্যা সঠিক কত সেটি স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা গোপন রেখেছেন।

স্কুল শিক্ষা দফতরের মাধ্যমিক স্তরের জেলা পরিদর্শক চন্দ্রশেখর জাউলিয়া বর্তমানে ছুটিতে থাকায় প্রাথমিক স্তরের জেলা পরিদর্শক সমরেন্দ্র নাথ সাঁতরা বর্তমানে মাধ্যমিক স্তরের জেলা পরিদর্শকের দায়িত্বে আছেন। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কটি আসনের তালিকা পাঠানো হয়েছে সেটা বলতে পারব না। প্রাথমিক স্তরেও বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ দেখছে।’’ বীরভূম জেলা প্রাথমিক সংসদের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের শিক্ষা সেলের জেলা সভাপতি প্রলয় নায়েক বলেন, ‘‘প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরের শূন্য পদের তালিকা দিন কয়েক আগেই পাঠানো হয়েছে। যতদূর জানি, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেও শূন্য পদে শিক্ষকদের তালিকা রাজ্যের শিক্ষা সচিবের দফতরে পাঠানো হয়েছে।’’

Advertisement

অন্যদিকে, জেলার বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানান, বর্তমান সরকারি ব্যবস্থায় শিক্ষা দফতরের পোর্টালেই কোন স্কুলে কত জন শিক্ষক নেই তা দেখা যায়। স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার শুনানির পর্বে জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে শিক্ষকের শূন্য পদ নিয়ে কোনও কিছু জানতে চাওয়া হয়নি বলেই তাঁদের দাবি। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলগুলিতে নিয়োগের দাবি জানাচ্ছিল। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির পক্ষে অধীর দাস বলেন, ‘‘বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য দাবি জানানো হচ্ছে অনেক দিন ধরে। বিশেষ করে গ্রামের স্কুলগুলিতে শিক্ষকেরা উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে শহরাঞ্চলে নিজেদের বাড়ির কাছে বদলি হওয়ার পরে বহু স্কুলে শিক্ষক নেই। পঠন-পাঠন মুখ থুবড়ে পড়েছে।’’

এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক আশিস বিশ্বাস বলেন, ‘‘উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে রাজ্যে শিক্ষকদের শূন্য পদ প্রায় ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৬২৫। বীরভূম জেলাতে দশ হাজারেরও বেশি শিক্ষক নিয়োগ দরকার এখন। সরকারের অপরিকল্পিত প্রকল্প ‘উৎসশ্রী’র মাধ্যমে গ্রামের স্কুলগুলির শিক্ষকেরা চলে গিয়েছেন। পরিবর্তে কেউ আসেননি। পঠন পাঠন বন্ধ প্রায়। প্রতিটি ব্লকে বেশকিছু স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা পাঁচ শতাধিক হলেও দুই থেকে তিন জনের বেশি শিক্ষক নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন