প্রতীকী ছবি।
এলাকার বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্যের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল আদ্রার বেকো পঞ্চায়েত। সম্প্রতি জলপ্রকল্পের একাংশের দায়িত্ব পঞ্চায়েতের হাতে তুলে দিল জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর। পঞ্চায়েতের প্রধান কাজল ভট্টাচার্য জানান, বৃহস্পতিবার রঘুনাথপুরে দফতরের অফিসে পঞ্চায়েতের সঙ্গে প্রকল্প হস্তান্তরের চুক্তি হয়েছে। আপাতত জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর (সিভিল) পঞ্চায়েতকে জলপ্রকল্পের পাইপ লাইন সংক্রান্ত সমস্ত দায়িত্ব হস্তান্তর করেছে। পরের ধাপে পাম্প হাউস সংক্রান্ত দায়িত্বও হস্তান্তর করা হবে।
এখন এলাকার জলপ্রকল্পের পাইপলাইন সংক্রান্ত সমস্যা দেখভাল করবে পঞ্চায়েত। ওই কাজে নিযুক্ত জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের চার ঠিকা কর্মীর পারিশ্রমিকও পঞ্চায়েতই দেবে বলে জানানো হয়েছে। ওই এলাকায় টাইম কলের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হয়। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পাইপলাইনের দায়িত্ব পেয়েই বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ দেওয়ার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের হাতে থাকা জলপ্রকল্পগুলি পঞ্চায়েতকে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়। রঘুনাথপুর মহকুমা প্রশাসন উদ্যোগী হয়ে গত মাসে কাশীপুর ব্লকের পাঁচটি জলপ্রকল্প পঞ্চায়েতগুলির হাতে তুলে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে। কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার উপস্থিতিতে পঞ্চায়েতের প্রধানদের নিয়ে ওই বৈঠক করে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর। তার পরেই জেলার মধ্যে প্রথম বেকো পঞ্চায়েতের এই দায়িত্বপ্রাপ্তি।
এলাকার জলসঙ্কট মেটানোর জন্য আদ্রা থানা এলাকার বেকো পঞ্চায়েত দীর্ঘদিন ধরেই জলপ্রকল্প হস্তান্তরের দাবি তুলেছিল। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর ও প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আবেদন জানিয়েছিল সিপিএম পরিচালিত এই পঞ্চায়েত। আদ্রার রেলশহরের দক্ষিণ প্রান্তে বিস্তীর্ণ এলাকা বেকো পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। এলাকার অনেক বাসিন্দাই প্রয়োজনে পরিষেবা কর দিয়েই বাড়িতে জলের সংযোগ পেতে চান। কিন্তু সেই বন্দোবস্ত করা জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। ওই এলাকায় জল সরবরাহ নিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভও ছিল। কয়েক মাস আগে পঞ্চায়েতে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
পঞ্চায়েত প্রধান কাজল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘চুক্তি হওয়ার পরেই আমরা বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ দেওয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু করে দিয়েছি।” পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগে পঞ্চায়েতের শহর এলাকায় সমীক্ষা করা হয়েছিল। দু’ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা বাড়িতে জলের সংযোগ নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
কাজল বলেন, ‘‘পুরসভা যে পদ্ধতিতে বাড়িতে জলের সংযোগ দেয় আমরা সে ভাবেই দেব। বাসিন্দারা পরিষেবা কর দিতে রাজি হয়েছেন। সেই টাকায় জল প্রকল্পের দেখভাল করা হবে।’’
তিনি জানান, প্রথমে এককালীন কিছু টাকা এবং পরে প্রতি মাসে পরিষেবা কর দিতে হবে বাড়িতে জলের সংযোগ পেতে হলে।