খেলার মাঠের পাশে আয়োজক সংস্থার মণ্ডপ। মণ্ডপের বাঁশের খুঁটিতে বাঁধা চারটি ছাগল। কেউ বটপাতা এগিয়ে দিচ্ছেন, কেউ বা মুঠোয় ঘাস ধরে সেগুলির মুখে। খেলা শুরুর ১০ মিনিট আগে শালবনে ঘেরা মাঠের চারপাশে হাজির দর্শকদের দেখাতে ছাগলগুলিকে নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন উদ্যোক্তারা। খেলার হাফটাইমে ফের তা করা হয়। খেলা শেষের ৫ মিনিট আগে ছাগলগুলিকে নিয়ে বাড়ি ফেরা। পরের দিনের খেলায় দেখা যায় একই ছবি।
নলহাটি থানার সন্তোষপুর আদিবাসী সিধো কানহো ক্লাবের উদ্যোগে রবিবার থেকে শুরু হয়েছে ৩২ দলের ফুটবল প্রতিযোগিতা। নলহাটি, রামপুরহাট, মহম্মদবাজার, মুরারই ছাড়া লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের শিকারিপাড়া, পখুড়িয়া থানা থেকে যোগদানকারী দলের সবই আদিবাসী সম্প্রদায়ের।
উদ্যোক্তারা জানান, প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য বিজয়ী ট্রফি-সহ ৩০ কিলোগ্রাম খাসির মাংস পুরস্কার থাকবে। রানার্সদের জন্য ট্রফি-সহ থাকবে ২৫ কিলোগ্রাম মাংস। সেমিফাইনালে পরাজিত দু’টি দলও বাদ যাবে না। দুই দলের প্রতিটির জন্য বরাদ্দ থাকবে ১০ কিলোগ্রাম করে মাংস। তা জানাতেই খেলার মাঠে ছাগল ঘোরানো হচ্ছে।
উদ্যোক্তারা জানান, রবিবার থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার চূড়ান্ত খেলা হবে। গ্রাম ছাড়িয়ে শালবনের মাঠে খেলা দেখতে আসছেন দূরদূরান্তের দর্শকেরাও। চূড়ান্ত খেলায় কোন দলের ভাগ্যে ৩০ কিলোগ্রাম মাংস জোটে, তা দেখতে আর বেশি লোক মাঠে আসবেন বলে আশায় রয়েছেন উদ্যোক্তারা।