প্রতীকী চিত্র।
জঙ্গলের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে বছর ত্রিশের এক মহিলার দেহ। ঠিক পাশেই একটি গাছে হেলান দিয়ে বছর দশেকের এক বালকের নিথর শরীর। মহিলার শাড়ির একপ্রান্ত দিয়েই বালকের গলায় ফাঁস লাগিয়ে গাছের সঙ্গে বাঁধা। বৃহস্পতিবার সকালে দুবরাজপুরের নিরাময় যক্ষ্মা হাসপাতালের অদূরে পাহাড়িয়া জঙ্গল থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা ও বালকের দেহ উদ্ধারকে ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। দু’জনকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে।
পুলিশের আরও ধারণা সম্পর্কে মা-ছেলে হতে পারে। জেলাপুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমার বলেন, ‘‘আমরা খুনের মামলা রুজু করেই তদন্ত শুরু করব। মহিলা ও শিশুর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সকাল সাতটা নাগাদ, পাতা কুড়াতে এসে কিছু মহিলাই যশপুর পঞ্চায়েত এলাকার ওই নির্জন জঙ্গলে দুটি দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পায় পুলিশও। পুলিশ এসে এলাকা ঘিরে ফেললেও আশপাশের প্রচুর মানুষ জড়ো হন। কিন্তু কেউই দেহ দুটিকে সনাক্ত করতে পারেননি। কিন্তু জঙ্গলের মধ্যেই তাদেরকে খুন করা হয়েছিল কিনা দ্বন্দ্বে পুলিশ। কারণ যে ধরনের অত্যাচারের পরে দু’জনকে মারা হয়েছে তাতে ধস্তাধস্তি হওয়ার সম্ভবনা প্রবল।
অথচ জঙ্গলের মাটিতে সামান্য রক্ত পড়ে থাকলেও তেমন কোনও চিহ্ন নজরে পড়েনি। দু’জনের পয়েই চটিজোড়া ছিল। জিন্সের ফুল প্যান্ট ও গেঞ্জি ছিল শিশুটির পরনে। মহিলার পরনে ছিল হলুদ ও সবুজে কাজ করা শাড়ি। পুলিশের ধারনা শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে। সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যে জঙ্গলে দেহ দুটি মিলছে তার কাছে আছে ঘসবেড়া নামের একটি আদিবাসী পাড়া রয়েছে। গতরাতে কোথাও কোনও চিৎকার কেউ শুনেছিলেন কিনা, বা বহিরাগত কাউকে এলাকায় ঢুকতে দেখেছিলেন কিনা— এবং কীভাবে, কারা কোথা থেকে দু’জনকে এ ভাবে খুন করে পালিয়ে গেল চলছে তার উত্তর খুঁজছে পুলিশ।