ঝালদায় নতুন পুরপ্রধান ‘নির্বাচন’

ঝালদার পুরপ্রধান তৃণমূলের সুরেশ অগ্রবালের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন ৯ জন কাউন্সিলর। অনাস্থায় সই করেছিলেন তৃণমূলের কয়েক জনও। তার পরে জল বিভিন্ন দিকে গড়িয়েছে। পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝালদা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৮ ০৭:২০
Share:

কুর্সি: পুরপ্রধানের টেবিলে (বাঁ দিক থেকে) প্রদীপ কর্মকার ও কাঞ্চন পাঠক। নিজস্ব চিত্র

নতুন পুরপ্রধান ‘নির্বাচন’ হল ঝালদায়। তবে ‘তলবিসভা’-র মতো এ বার আর বারান্দায় নয়, পুরো ব্যাপারটা হয়েছে পুরসভার ভিতরেই। পুরসভার প্রধান করণিক গৌতম গোস্বামী জানান, আদালত এ দিনের সভা করতে বলেছিল। তাই সভা হয়েছে। প্রদীপ কর্মকার পুরপ্রধান এবং কাঞ্চন পাঠক উপ-পুরপ্রধান ‘নির্বাচিত’ হয়েছেন। বিষয়টি জোলাশাসককে জানানো হয়েছে।

Advertisement

ঝালদার পুরপ্রধান তৃণমূলের সুরেশ অগ্রবালের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন ৯ জন কাউন্সিলর। অনাস্থায় সই করেছিলেন তৃণমূলের কয়েক জনও। তার পরে জল বিভিন্ন দিকে গড়িয়েছে। পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হয়েছে। ১৮ তারিখ পুরসভার বারান্দায় ‘তলবিসভা’ করেন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা। তাতে সুরেশ অগ্রবাল ‘অপসারিত’ হয়েছেন বলে দাবি করেন তাঁরা। কিন্তু পুরো প্রক্রিয়াটিই বৈধ কি না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। জেলাশাসক রাজ্য পুর-দফতরে বিষয়টি জানান। শুক্রবার সুরেশ বলেন, ‘‘আমি ২৭ তারিখ কোর্টে গিয়েছিলাম। ২৮ তারিখ শুনানি হয়েছে। আমি যেমন পুরপ্রধান রয়েছি, তেমনই থাকছি। আগস্টে শুনানি হবে। কোর্ট দু’পক্ষেরই কথা শুনবে।’’

এ দিনের পুরপ্রধান ‘নির্বাচনের’ সভায় সভাপতিত্ব করেন তৃণমূলের কাউন্সিলর কাঞ্চন পাঠক। তিনি দাবি করেছেন, বিধি মেনেই তলবিসভায় পুরপ্রধানের ‘অপসারণ’ হয়েছিল। এ দিন বিধি মেনেই নতুন পুরপ্রধান ‘নির্বাচন’ হয়েছে। প্রদীপ কর্মকার বলেন, ‘‘সুরেশ অগ্রবাল হাইকোর্টে একটি মামলা করেছিলেন এ দিনের সভা রুখতে। কিন্তু আদালত সভা করার অনুমতি দিয়েছে। সেই মোতাবেক আমাদের কাউন্সিলরেরা আমাকে পুরপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। আর বিরোধীরা বাইরে থেকে সমর্থন করেছেন।’’ কংগ্রেসের কাউন্সিলর মহেন্দ্রকুমার রুংটা বলেন, ‘‘তৃণমূলের কাউন্সিলরেরাই পুরপ্রধান নির্বাচিত করেছেন। আমরা বাইরে থেকে সমর্থন করেছি।’’

Advertisement

এ দিন তৃণমূল কাউন্সিলরেরা জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে গোটা বিষয়টি জানান। পুরপ্রধান হিসেবে প্রদীপ যাতে শপথ নিতে পারেন সেই অনুরোধ করেন। জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায় বলেন, ‘‘বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন