Rotten Meat

ফ্রিজ়ে কেজি কেজি পচা মাংস! বিক্রেতার বাড়ি গিয়ে তাজ্জব পুলিশ, ‘ভাগাড়কাণ্ডের’ ছায়া?

পুলিশ সূত্রে খবর, ‘বিশেষ সূত্রে’ তারা জানতে পারে সুমন মাইতি নামে ওই বিক্রেতা টাটকা মাংসের সঙ্গে নির্দিষ্ট অনুপাতে পচা এবং বাসি মাংস মিশিয়ে বিক্রি করছেন বাজারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৩৭
Share:

বাঁকুড়ায় মাংস বিক্রেতার বাড়িতে হানা। —নিজস্ব চিত্র।

বাড়িতে বেশ কয়েকটা রেফ্রিজারেটর। সবক’টিতেই মজুত রয়েছে কেজি কেজি পচা মাংস। এমনই অভিযোগ পেয়েছিলেন খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকেরা। বাঁকুড়ায় এক মাংস বিক্রেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল প্রায় ৬০ কেজি পচা মাংস। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই বিক্রেতাকে।

Advertisement

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সুমন কাইতি। পেশায় তিনি মাংস বিক্রেতা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পচা মাংস বিক্রি করেন। এই জন্য বাড়িতে পচা মাংস মজুত করতেন।

অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার সুমনের বাড়ি যান খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা। শুক্রবারই মাংস বিক্রেতাকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তাঁকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ‘বিশেষ সূত্রে’ তারা জানতে পারে সুমন কাইতি নামে ওই বিক্রেতা টাটকা মাংসের সঙ্গে নির্দিষ্ট অনুপাতে পচা এবং বাসি মাংস মিশিয়ে বিক্রি করছেন বাজারে। এই অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। খবর দেওয়া হয় খাদ্য সুরক্ষা দফতরেও। এর পর বৃহস্পতিবার রাতে খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে গোপালগঞ্জ এলাকায় ওই মাংস বিক্রেতার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু তল্লাশি শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যে তাঁরা কার্যত চমকে গিয়েছেন। দেখা গিয়েছে, বাড়ির মধ্যে রাখা রয়েছে সার সার রেফ্রিজারেটর। তাতে কেজি কেজি পচা মাংস মজুত রয়েছে। এর পরই খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই রেফ্রিজারেটর থেকে প্রায় ৬০ কেজি পচা মাংস উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে রেফ্রিজারেটরগুলি। পচা মাংস মজুতের অভিযোগে বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই পচা মাংস কোন এলাকা থেকে আনা হয়েছে এবং পচা মাংস বিক্রির চক্রে আরও কেউ যুক্ত রয়েছেন কি না, সে ব্যাপারে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

এ নিয়ে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস বলেন, ‘‘খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল। গোটা অভিযান প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ মাংস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই মাংস পরীক্ষার জন্য ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরি’তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ এই ঘটনায় অনেকের মনেই উঁকি দিয়ে গিয়েছে ২০১৮ সালের ‘ভাগাড়কাণ্ড’কে। পচা মাংস বিক্রির অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয় গোটা রাজ্যে। একাধিক গ্রেফতারির ঘটনা ঘটে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন