ভর্তিতে বিতর্ক নয়, নির্দেশ জয়ার

পুরুলিয়া জেলার সমস্ত কলেজ ইউনিটগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে শনিবার বিকেলে লালপুর মহাত্মা গাঁধী কলেজে সাংগঠনিক সভা করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে সংগঠনের রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি রেজাউল মোল্লা ও উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভানেত্রী পারমিতা সেনও ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হুড়া শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৭ ০১:১৮
Share:

উচ্চ মাধ্যমিকের পর কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় সংগঠনের কোনও কর্মীকে নবাগত ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি নিয়ে কোনওরকম বিতর্কে না জড়ানোর নির্দেশ দিলেন টিএমসিপি-র রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্তয়। একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ, হেল্পডেস্ক চালু করে সংগঠনের কোনও ব্যানার লাগানো যাবে না। এমনকী নেতাদের ফোন নম্বরও প্রকাশ্যে দেওয়া যাবে না।

Advertisement

পুরুলিয়া জেলার সমস্ত কলেজ ইউনিটগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে শনিবার বিকেলে লালপুর মহাত্মা গাঁধী কলেজে সাংগঠনিক সভা করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে সংগঠনের রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি রেজাউল মোল্লা ও উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভানেত্রী পারমিতা সেনও ছিলেন।

জয়া বলেন, ‘‘নবাগত ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের পর কলেজে পা রাখছে। এই সময় আমাদের সংগঠনের কর্মীদের তাঁদের সহায়তা করতে হবে। তাই
বলে হেল্পডেস্ক চালু করে সংগঠনের ব্যানার লাগানো যাবে না। ছাত্র সংসদের ব্যানার লাগানো যেতে পারে, কিন্তু সেই ব্যানারে কোনও নেতার ফোন নম্বর দেওয়া যাবে না।’’

Advertisement

লালপুর কলেজে সংগঠনের একটি ব্যানারে কয়েকজন ছাত্রনেতার ফোন নম্বর দেওয়া রয়েছে দেখে তিনি ক্ষুব্ধ হন। এই ব্যানার খুলে ফেলতে নির্দেশ দেন। জয়া বলেন, ‘‘আমরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি, কোনওরকম চাঁদা নেওয়া যাবে না।’’ সাংগঠনিক সভায় তিনি নির্দেশ দেন, এমন কোনও কাজ করা যাবে না, যাতে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিক আঙুল ওঠে। তেমন কাজ করলে কিন্তু দলীয় স্তরে প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংগঠনের জেলা সভাপতি নিরঞ্জন মাহাতো বলেন, ‘‘সংগঠনের জেলার সমস্ত কলেজের প্রতিনিধিরা এই সভায় ছিলেন। তাঁরা নিজেরাই এই নির্দেশ শুনেছেন। তা মানা হচ্ছে কি না আমরা দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন