রোগ ঠেকাতে টিকা বয়স্কদেরও

জাপানি এনসেফালাইটিস রোগ প্রতিরোধে বয়স্কদের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে জেলায়। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে ঠিক করে দেওয়া জেলার পাঁচটি ব্লকে বসবাসকারী ১৫-৬৫ বছর বয়সী পর্যন্ত সকলকে ওই টিকা দেওয়া হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি ও নানুর শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:০২
Share:

নানুরে সচেতনতার মিছিল। নিজস্ব চিত্র।

জাপানি এনসেফালাইটিস রোগ প্রতিরোধে বয়স্কদের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে জেলায়। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে ঠিক করে দেওয়া জেলার পাঁচটি ব্লকে বসবাসকারী ১৫-৬৫ বছর বয়সী পর্যন্ত সকলকে ওই টিকা দেওয়া হবে।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সিউড়ি ১ ও ২ ব্লক, সাঁইথিয়া, নানুর ও খয়রাশোল— এই পাঁচ ব্লকে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে তিন সপ্তাহ ধরে এই কর্মসূচি পালিত হবে। কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই প্রচার অভিযান শুরু হয়েছে। ওই পাঁচ ব্লকের মোট ৯০টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিভিন্ন শিবির করে ধাপে ধাপে এই টিকা দেওয়া হবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, ‘‘জাপানি এনসেফেলাইটিস রোগ প্রতিরোধে শিশুদের এমনিতেই জে-ই টিকাকরণ করা হয়। বড়দের মধ্যে যাতে এই মারণ রোগের প্রকোপ না ঘটে, তাই এমন সিদ্ধান্ত। মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ এই টিকার আওতায় আসবেন। লক্ষ্যমাত্রা কম বেশি পাঁচ লক্ষ।’’ চিকিৎসকেরা বলছেন, বুনো পাখি, শুয়োরের শরীরে থাকে জাপানি এনসেফালাইটিসের ভাইরাস ‘ফেভি’। আর কিউলেক্স প্রজাতির মশা যখন বাহনকারী পশু, পাখিকে কামড়ে মানুষকে কামড়ায়, তখনই জীবাণু সংক্রামিত হয়। চিকিৎসকেরা আরও জানাচ্ছেন, জাপানি এনসেফালাইটিস হলে রোগীর ব্রেন বা মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়। ২৫-৩০ শতাংশের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। হতে পারে অঙ্গহানিও। ফলে এই রোগ আক্রমণের আগেই দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা জরুরি। সেই কারণেই এই কর্মসূচি। তবে কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে ব্যাপক ভাবে প্রচারের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। সিএমওএইচ বলছেন, ‘‘টিকা দেবেন স্বাস্থ্যকর্মী (এএনএম বা সেকেন্ড এএনএমরা)। নজরদারি করবেন সুপারভাইজর ও চিকিৎসকরেরা। কিন্তু কেন টিকাকরণ কর্মসূচি, কারা পাবেন সেটা মানুষের কাছে স্পষ্ট করতে ব্লক প্রশাসন, প্রতিটি পঞ্চায়েত প্রধান, সদস্য, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ক্লাব— সকলকেই সাহায্য করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। থাকছে ট্যাবলো ও মাইকে প্রচার।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এমনিতে বীরভূমে জাপানি এনসেফালাইটিস রোগের প্রকোপ খুব বেশি নয়। ২০১৬ সালে জেলায় ১৫ জন বাসিন্দার শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। মারা গিয়েছেন দু’জন।

শনিবারই আবার ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে নানুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে এনসেফালাইটিস সম্পর্কিত একটি সচেতনতা শিবির। শিবিরে যোগ দেন ৭০ জন স্বাস্থ্যকর্মী। হাজির ছিলেন বিএমওএইচ সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়, হেড নার্স তৃপ্তি চক্রবর্তী প্রমুখ। বিএমওএইচ বলেন, ‘‘৮ ফেব্রুয়ারি ব্লকের ২৪টি সাব সেন্টারে একই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন