সরস্বতী পুজোর ভাসানের সময় দুই পাড়ার বিবাদে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। জখম হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
শুক্রবার শালতোড়া থানা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে মৃত বুলু রায় (৫০) শালতোড়ার রায়পাড়ার বাসিন্দা। ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়পাড়া ও চাষাপাড়ার মধ্যে পুরনো বিবাদ রয়েছে। বৃহস্পতিবার রায়পাড়া হয়ে চাষাপাড়ার সরস্বতীপুজোর প্রতিমা ভাসানের শোভাযাত্রা যাচ্ছিল। রায়পাড়ার কয়েকজন তার বিরোধিতা করেন। সেই সময়ে প্রতিমা অন্য পথে ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়ে ভাসান দেওয়া হয়। কিন্তু ঝামেলা সেখানেই থেকে থাকে না।
শুক্রবার সকাল থেকেই দুই পাড়ার লোকজনের মধ্যে মারপিট বেধে যায়। ঘটনায় দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন জখম হন। তাঁদের শালতোড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রাথমিক চিকিৎসার পরে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হলেও বুলুবাবুর চোট বেশি থাকায় তাঁকে পাঠানো হয় বাঁকুড়া মেডিক্যালে। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হল তাঁর।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতেই বুলুবাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে চাষাপাড়ার লোকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে ওই পাড়ার এগারো জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার ধৃতদের বাঁকুড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
শালতোড়ার বিধায়ক স্বপন বাউড়ি বলেন, ‘‘আমি দুই পাড়ার লোকজনকেই শান্তি বজায় রাখতে বলেছি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তবে ভবিষ্যতে যা আর অশান্তি না হয় তার জন্য দু’পক্ষকে নিয়ে শীঘ্রই আলোচনায় বসব।’’
অপহরণ। হুড়া থানা এলাকার এক নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ উঠল। পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় হুড়ার মানপুর এলাকার এক স্কুল ছাত্রী। সে স্থানীয় একটি হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। বৃহস্পতিবার ছাত্রীটির পরিবার হুড়া থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের প্রেক্ষিতেওই নাবালিকার খোঁজ শুরু হয়েছে। তাকে কে অপহরণ করেছে তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।