এক আদিবাসী মহিলাকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মহম্মদবাজারের মোলপুর গ্রামে। পুলিশ জানায় ধৃত ব্যক্তির নাম পরেশ বাগদি। বাড়ি মোলপুর গ্রামেই।
পুলিশ জানিয়েছে, পরেশের সঙ্গে একই থানার অন্তর্গত রাজ্যধরপুর গ্রামের মহিলা, বড়দি সোরেনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ওই মহিলা প্রায় গত একমাস থেকে নিখোঁজ ছিলেন। কয়েকদিন আগে, তাঁর বোন মাকু সোরেন দিদি নিখোঁজ বলে মহম্মদবাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ দিন পুলিশ ও ভারত জাকাত মানঝি পারগনা মহলের লোকজনেরা পরেশকে চেপে ধরে। শেষ পর্যন্ত সে স্বীকার করে যে, ওই মহিলাকে মেরে বাড়ির উঠোনের পাশে পুঁতে রেখেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই মহিলা প্রায় মোলপুরে এসে থাকত। তবে বেশ কয়েকদিন থেকে আর ওই মহিলাকে দেখা যায়নি। বড়দি দেবীর বোন একই থানার দেবগ্রামের বাসিন্দা মাকু সোরেন বলেন, ‘‘জামাইবাবু মারা যাওয়ার পর থেকেই দিদি প্রায় সময় বাড়িতে থাকত না। শুনেছি মোলপুরের পরেশ বাগদির সঙ্গে দিদির অনেকদিন থেকে সম্পর্ক ছিল। প্রায় ওখানে যেত ও থাকত। কিছু দিন থেকে দিদির কোনও খোজ খবর না পেয়ে মহম্মদবাজার থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করি।’’
কী কারণে ওই মহিলাকে খুন হতে হল? পুলিশ জানায়, পরেশকে জিজ্ঞাসাবাদ না করে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। বড়দি সোরেনে বাড়ির লোক মৃতদেহটি বড়দি সোরেনের বলে সনাক্ত করেছেন। দেহটি আজ বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান পাঠানো হবে। বিডিও সুমন বিশ্বাস বলেন, ‘‘বালি ও মাটি তুলে দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।’’
শিক্ষকদের বিবাদ, ঘেরাও। ছুটি নিয়ে দুই শিক্ষকের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতিতে জখম হলেন টিচার ইনচার্জ ও সহকারী এক শিক্ষক। বুধবার সকালে নলহাটি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনগ্রাম সূর্যকুমারী বাহাদুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। কেন এমন হবে প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা শিক্ষকদের ঘেরাও করে পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানায়।