মেয়েকে ‘বিক্রির’ চেষ্টার নালিশ

পুলিশ ও চাইল্ডলাইনের তৎপরতায় শুক্রবার শিশুকন্যাটিকে কান্দির রামনগর থেকে উদ্ধার করা গিয়েছে। অভিযুক্ত বধূর দাবি ‘অভাবের তাড়নায়’ এমন কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এ দিন জেলা শিশু কল্যাণ কমিটি (সিডব্লুসি) এবং সমাজকল্যাণ বিভাগের আধিকারিকরা অনেক সময় ধরে ওই বধূর কাউন্সেলিং করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৭ ০২:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

নিজের বছর দেড়েকের মেয়েকে ভিন্ জেলার নিঃসন্তান দম্পতির হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। মহম্মদবাজারের ঘটনা। যদিও পুলিশ ও চাইল্ডলাইনের তৎপরতায় শুক্রবার শিশুকন্যাটিকে কান্দির রামনগর থেকে উদ্ধার করা গিয়েছে। অভিযুক্ত বধূর দাবি ‘অভাবের তাড়নায়’ এমন কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এ দিন জেলা শিশু কল্যাণ কমিটি (সিডব্লুসি) এবং সমাজকল্যাণ বিভাগের আধিকারিকরা অনেক সময় ধরে ওই বধূর কাউন্সেলিং করেন। শিশুকে আপাতত মায়ের হেফাজতেই দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে শুধুই কী অভাব, নাকি নিজের সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন ওই মা? এখনই তা ভাঙেননি সিডব্লুউসির চেয়ারম্যান নিত্যানন্দ রায়। তিনি শুধু বলেন, ‘‘সোমবার শিশুকে নিয়ে সিউড়ি আসতে বলা হয়েছে। সেই সময়টা পুলিশ ও চাইল্ডলাইন নজর রাখবে।’’

Advertisement

জেলা প্রশাসন ও চাইল্ডলাইন সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদবাজার থানা লাগোয়া লোহাবাজার বায়েন পাড়ায় মায়ের কাছে থাকেন স্বামী বিচ্ছিন্না ওই বধূ। তাঁর দুটি মেয়ে। একটি বছর তিনেকের, অন্যটি দেড় বছরের শ্রাবন্তী। অভিযোগ, সম্প্রতি ছোট মেয়েকেই মুর্শিদাবাদের এক দম্পতির কাছে দিয়ে এসেছিলেন ওই বধূ। সিউড়ি চাইল্ডলাইনের পক্ষে ফরিদা ইয়াসমিন ও সুস্মিতা চক্রবর্তীরা বলছেন, ‘‘ওই তরুণী নিজের সন্তানকে মুর্শিদাবাদে নিয়ে গেলেও একা ফেরত এসেছে। এলাকা থেকে এই খবর পেয়েই আমরা ওর বাড়ি যাই। তখনই তিনি জানান মেয়েকে অন্যের হাতে তুলে দিয়েছেন।’’ সঙ্গে সঙ্গে চাইল্ডলাইনের পক্ষ থেকে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মুর্শিদাবাদ থেকে ফিরিয়ে আনা হয় শিশুকন্যাকে।

কেন এমন করলেন?

Advertisement

ওই বধূ বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে বিয়ে হয়েছিল। স্বামী দেখে না। এখান মাও আর থাকতে দেবে না বলছে। অভাবের মধ্যে দু’টি মেয়ে বড় করতে পারবে না ভেবে ঠিক করেছিলাম মেয়েকে অন্য কেউ মানুষ করুক।’’ সেই ভাবনা ভুল ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু, রাতরাতি অভাব তো ঘুচবে না। তা হলে শিশুর ভবিষ্যৎ কি সুরক্ষিত? প্রশাসন জানিয়েছে, সেটা ভেবে দেখা হচ্ছে।

দেহ উদ্ধার। এক মহিলার ক্ষতবিক্ষত, নগ্ন দেহ মিলেছে রেললাইনে। শুক্রবার কালনা এবং গুপ্তিপাড়া স্টেশনের কাছে ওই দেহ মেলে। বছর পঁয়তাল্লিশের ওই মহিলার পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। রেললাইনের কাছাকাছি পাট খেত থেকে কয়েকটি চুড়ি এবং গলার হার উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement