দরজার তালা ভাঙতে না পেরে মন্দিরের দেওয়ালে সিঁদ কেটে চুরি করে নেওয়া হল বিগ্রহের অলঙ্কার।
শনিবার রাতে রাজনগরের চন্দ্রপুর থানার তাঁতিপাড়া গ্রামের শতাব্দী প্রাচীন মহাপ্রভু মন্দিরের ঘটনা। একই সঙ্গে চুরি হয়েছে ঠিক পাশে থাকা জগদ্ধাত্রী মন্দিরেও। বৃহস্পতিবার রাতে রাজনগরেরই ছোটবাজার গ্রামে মনসা মন্দিরে চুরির পরেই একই ব্লকে আরও দু’টি মন্দিরে চুরির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। দ্রুত দোষীদের ধরে চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার করার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বহু প্রাচীন এই মন্দিরটি গ্রামের এক প্রান্তে অবস্থিত। বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে গাছগাছালি ঘেরা থাকায় শনিবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কোনও আওয়াজ শুনতে পাননি। সকালে মন্দিরে প্রণাম করতে এসে গ্রামের এক বাসিন্দা দেখেন, মন্দিরের ডান দিকে থাকা জানালার নিচে সিঁদ কাটা। কী ঘটেছে অনুমান করেই সকলকে ডেকে আনেন তিনি। মন্দির খুলে দেখা যায় মহাপ্রভু, রাধারানি, কৃষ্ণগোপাল-সহ একাধিক বিগ্রহ রয়েছে। কিছু কাঠের, কিছু শিলামূর্তি। কিন্তু চোরেরা নিয়ে গিয়েছে সব ক’টি অলঙ্কারই।
জানা গিয়েছে, মন্দিরের নিজস্ব জমি আছে। তাতেই চলে জন্মাষ্টমী, রধাষ্টমী, ঝুলন, রথের মতো নানা অনুষ্ঠান। গ্রামের যে কোনও মাঙ্গলিক কাজ হলে সবার আগে মহাপ্রভু মন্দিরে পুজো দিয়েই সে কাজ করেন গ্রামের মানুষ। তবে মন্দিরটি গোটা গ্রামের মানুষের হলেও ২১ জনের একটি ট্রাস্টি বোর্ড রয়েছে। ট্রাস্টির সদস্য শশাঙ্কশেখর গুঁই, গৌরকিশোর দাস এবং স্থানীয় বাসিন্দা মলয় ভক্তরা বলছেন, ‘‘শনিবার সন্ধ্যায় পুরোহিত সন্ধ্যারতি করে চলে গিয়েছিলেন। সকালে যে এমন খবর পেতে হবে, ভাবতে পারছি না।’’ মলয়বাবুরা বলছেন, ‘‘এই মন্দিরের একটি শার্টার-সহ দু’টি দরজা আছে। কিন্তু চুন-সুরকির গাঁথনি হওয়ায় দরজার তালা না ভাঙতে পেরে দেওয়ালে সিঁদ কেটেছে চোর। পাশের ব্যক্তি মালিকানায় থাকা জগদ্ধাত্রী মন্দিরের তালা ভেঙে গয়নাও চুরি করেছে। পুলিশ তদন্ত করে জড়িতদের চিহ্নিত করুক।’’ পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।