দর্শক হাতেগোনা, পদ্মাবত নির্বিঘ্নেই

 জেলার দু’টি হলে মুক্তি পেল ‘পদ্মাবত’। বোলপুরের গীতাঞ্জলি এবং সিউড়ির চৈতালি— শুক্রবার দু’টি হলই ছিল নিরাপত্তায় মোড়া। কোথাও কোনও অশান্তি হয়নি। তবে প্রেক্ষাগৃহে দেখা মেলেনি তেমন দর্শকেরও! সিউড়িতে ৬৪০ আসনের প্রেক্ষাগৃহের ভরেছে মাত্র ৪০ থেকে ৫০টি আসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর ও সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:৩৮
Share:

বোলপুরের গীতাঞ্জলিতে পুলিশ পাহারায় চলছে পদ্মাবত। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

জেলার দু’টি হলে মুক্তি পেল ‘পদ্মাবত’। বোলপুরের গীতাঞ্জলি এবং সিউড়ির চৈতালি— শুক্রবার দু’টি হলই ছিল নিরাপত্তায় মোড়া। কোথাও কোনও অশান্তি হয়নি। তবে প্রেক্ষাগৃহে দেখা মেলেনি তেমন দর্শকেরও! সিউড়িতে ৬৪০ আসনের প্রেক্ষাগৃহের ভরেছে মাত্র ৪০ থেকে ৫০টি আসন। তবে হল মালিকদের আশা, আগামী দিনে ভিড় হবে।

Advertisement

দীর্ঘ আইনি টানাপোড়েন বিক্ষোভ, প্রতিবাদের ঝড় সামলে মুক্তি পেয়েছে সঞ্জয়লীলা ভান্সালী পরিচালিত এই ছবি। ছবির মুক্তি আটকাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু করেছে করণী সেনা ও রাজপুত সংগঠনগুলি। তেলেঙ্গানা, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশে পুড়েছে পদ্মাবতের পোস্টার। বিক্ষোভের হাত থেকে রেহাই পাইনি স্কুলবাসও। যে সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে পদ্মাবত দেখানো হবে, সেই সব হলে নিরাপত্তা বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে ‘সিনেমা ওনার্স অ্যান্ড এগজিবিটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি পাঠায় এবং হল মালিকদেরও আর্জি জানায়, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রেখে তবেই যেন পদ্মাবত প্রদর্শিত হয়। তার কিছু প্রভাব পড়েছে জেলার দুই প্রেক্ষাগৃহেও।

বোলপুর গীতাঞ্জলিতে প্রথম শো ছিল ১০টা ৪৫ মিনিটে। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, হলে ঢোকার মুখে চেয়ার নিয়ে বসে রয়েছেন কিছু উর্দিধারী। আশপাশে ঘোরাফেরা করছেন জনা কয়েক। হলের ভিতরে টিকিট কাউন্টারের সামনেও রয়েছে পুলিশি পাহারা। রয়েছে মহিলা পুলিশও। প্রথম দিন প্রথম শো দেখার নেশা থাকে অনেকেরই। কিন্তু, অন্য সিনেমার মতো সে রকম উন্মাদনা এ দিন অন্তত চোখে পড়েনি। কয়েক মাস আগেই মুক্তি পাওয়া ‘বাহুবলি ২’ যেমন আবেগ ছিল বোলপুরের দর্শকদের, বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের প্রথম শোয়ের ক্ষেত্রে সে রকম আবেগ নজরে পড়েনি। এমনকি ‘হাউসফুল’ও হয়নি। অনেকেই অবশ্য মনে করছেন, দু’দিন আগেই গিয়েছে সরস্বতী পুজো। আজ, শুক্রবার আবার প্রজাতন্ত্র দিবস। সময়ের অভাব থেকেই হয়তো অনেকে ইচ্ছা থাকলেও আসতে পারেননি। হল কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে একমত। তাঁরা পরের দিনগুলোতে দর্শক হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।

Advertisement

প্রথম দিন প্রথম শো দেখার নেশায় দার্জিলিঙের চোয়াং তামাং এসেছিলেন আরও ছ’জন বন্ধুবান্ধব নিয়ে। সবাই বিশ্বভারতী ইতিহাস বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের ছাত্রছাত্রী। সিনেমা দেখে সকলেই খুব খুশি। তাঁরা বলছেন, ‘‘যাঁরা সিনেমা বন্ধের জন্য এত বিক্ষোভ, আন্দোলন করলেন তাঁদের সিনেমা দেখার পরে অনুশোচনা করবেন। মনে হবে কেন এত কিছু করলাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন