Foetuses Recovered in Bankura

হোমিওপ্যাথিতে ডিপ্লোমা নিয়ে শল্যচিকিৎসা! ভ্রূণ উদ্ধারে ধৃত পাহাড়িবাবুর স্বীকারোক্তিতে শোরগোল

পুলিশ সূত্রে খবর, পাহাড়িবাবুর পসার জমে অবৈধ ভাবে গর্ভপাত করানোয়। নালা থেকে দুটি ভ্রূণ উদ্ধারের ঘটনায় রবিবারই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন স্বঘোষিত ওই চিকিৎসক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৯
Share:

(বাঁ দিকে) পলিক্লিনিকের সাইনবোর্ড। ধৃত ‘পাহাড়িবাবু’ (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

হোমিওপ্যাথির ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট রয়েছে। সেটাই সম্বল করে শল্য চিকিৎসার পসার ফেঁদে বসেছিলেন বাঁকুড়ার সোনামুখীর মানস মুখোপাধ্যায় ওরফে পাহাড়িবাবু । খুলে ফেলেছিলেন নার্সিংহোমও। পরে নার্সিংহোমটি ভাড়া দিয়ে দিলেও নিজে ‘প্র্যাকটিস’ চালিয়ে যেতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, পাহাড়িবাবুর পসার জমে অবৈধ ভাবে গর্ভপাত করানোয়। নালা থেকে দু’টি ভ্রূণ উদ্ধারের ঘটনায় রবিবারই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন স্বঘোষিত ওই চিকিৎসক। সোমবার তাঁকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে হাজির করায় পুলিশ। বিচারক ধৃতের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

রবিবার সাতসকালে পাহাড়িবাবু এক মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে নিজের চেম্বার থেকে বার হয়ে সোনামুখী পুরসভা লাগোয়া নর্দমার কাছে যান। ওই মহিলা বালতিতে রাখা জিনিস নর্দমার মধ্যে ফেলে দেন। সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয়েরা সেখানে উঁকি দেন। তাঁরা দুটি ভ্রূণ পড়ে থাকতে দেখেন। তার পরই পাহাড়িবাবুর বিরুদ্ধে অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগ তুলে তাঁকে গ্রেফতারের দাবি তোলেন এলাকাবাসী। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পাহাড়িবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে শল্য চিকিৎসকের পরিচয় দিয়ে প্রতারণা, বেআইনি ভাবে পলিক্লিনিক এবং চেম্বার চালানো এবং সেখানে অবৈধ ভাবে গর্ভপাত করার মতো গুরুতর অভিযোগে মামলা রুজু করে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ডিএমএস নামের হোমিওপ্যাথির একটি শংসাপত্র রয়েছে পাহাড়িবাবুর। তার জোরেই নিজেকে চিকিৎসক দাবি করে চুটিয়ে অবৈধ ভাবে গর্ভপাতের ‘ব্যবসা’ খুলে বসেছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, পাহাড়িবাবু কত দিন ধরে এই কাজ করছেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। তবে এ টুকু জানা গিয়েছে, শনিবার রাতেই তিনি অস্ত্রোপচার করে দুই মহিলার গর্ভপাত ঘটিয়েছেন। পাহাড়িবাবু জানিয়েছেন কোনও সহযোগী ছাড়া তিনি একা হাতে দুই মহিলার অস্ত্রোপচার করেছেন। যদিও সে কথা মানতে নারাজ পুলিশ। তদন্তকারীরা মনে করছেন, পাহাড়িবাবুর সঙ্গে এক বা একাধিক সহযোগী ছিলেন। তাঁদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন ধৃত। বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস বলেন, ‘‘পাহাড়িবাবুকে পাঁচ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানানো হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ সম্পর্কে আরও বিশদে তথ্য পাওয়া যাবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement