ত্রাণ বিলি নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে এক কর্মীর চশমা আছড়ে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বিরুদ্ধে। আর দলেরই ওই পঞ্চায়েত সমিতি সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় এবং বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানালেন খোদ তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত প্রধান। রবিবার বিকেলে কোতুলপুর থানার লাউগ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এই ঘটনায় শাসকদলের নেতা-কর্মীদের হাতে সরকারি কর্মীদের হেনস্থা করার ঘটনা ফের প্রকাশ্যে এল।
সম্প্রতি পুরুলিয়া জেলায় কয়েকজন বিডিও ও যুগ্ম বিডিও-র বিরুদ্ধে শাসকদলেরই স্থানীয় নেতৃত্ব ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য থেকে কর্মাধ্যক্ষের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী ব্লক অফিসের সামনে রীতিমতো মাইক বাজিয়ে সভা থেকে বিডিও-কে বদলি করারও স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে। বাঁকুড়া জেলায় এখনও তেমন পরিস্থিতি তৈরি না হলেও এ বার সরকারি কর্মীকে খোদ পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরে নিগৃহীত করার অভিযোগ উঠল। তাতে মোটেই স্বস্তিতে নেই পঞ্চায়েত কর্মীদের একাংশ। তাঁরা অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। অসন্তুষ্ট আধিকারিকদেরও একাংশ।
ঘটনাটি কী?
রবিবার বিকেলে কোতুলপুর ব্লকের লাউগ্রাম পঞ্চায়েতে এই গোলমাল হয়। সেই রাতেই কোতুলপুর থানায় ও বিডিও-র কাছে এলাকার তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বাসুদেব হাজরার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তৃণমূলের লাউগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তুষারকান্তি ঘোষ। তুষারবাবুর অভিযোগ, “ত্রাণের কাজ চলছে বলে রবিবারেও অফিস খোলা ছিল। বিকেলে হঠাৎ কিছু লোক নিয়ে বাসুবাবু গালাগালি দিতে দিতে হুমকি দেন, ‘দোকান বন্ধ কর। দেখাচ্ছি তোর ত্রাণবাজি’। এরপরেই তিনি পঞ্চায়েত অফিসের এক কর্মীর চশমা আছড়ে ভেঙে দেন। আমি রাতেই থানায় ও বিডিওকে ঘটনাটি জানিয়েছি।”
বাসুদেববাবুর পাল্টা দাবি, “লাউগ্রামে ঠিক মতো ত্রাণ বিলি হচ্ছে না। এই নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ ছড়াচ্ছিল। সেটা জানাতেই প্রধানের কাছে গিয়েছিলাম। গালিগালাজ বা চশমা ভাঙার অভিযোগ মিথ্যা।” তবে ওই কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। কোতুলপুরের বিডিও প্রবীরকুমার শীট বলেন, “এ রকম একটা অভিযোগ পেয়েছি। ঠিক কী হয়েছিল খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ জানিয়েছে, প্রধানের অভিযোগের তদন্ত চলছে।