পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে ব্যবধান ছিল একটি আসনের। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছিল বামফ্রন্ট। বিধানসভা নির্বাচনের পরে ওন্দার কল্যাণী গ্রামপঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলেই চলে এল। সম্প্রতি দলের দুই পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে কল্যাণী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশোকবাবু নিজেই ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন বিডিওর কাছে। বিডিও (ওন্দা) শুভঙ্কর ভট্টাচার্য জানান, শুক্রবার পঞ্চায়েত সদস্যরা সভায় ময়না হাঁসদা নতুন প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন।
৯টি আসনের ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূল ৪টি এবং বামেরা ৫টি আসন পেয়েছিল। প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন সিপিএমের অশোকবাবু। ২০১৪-র ডিসেম্বরে সিপিএমের প্রধান অশোকবাবুর বিরুদ্ধে একবার অনাস্থা এনেছিল তৃণমূল। কিন্তু দলীয় সদস্যদের সমর্থনে সে যাত্রা পঞ্চায়েত ধরে রেখেছিল বামেরা। এই বিধানসভা নির্বাচনের পরে পঞ্চায়েতের দুই সিপিএম সদস্য লিখিত ভাবে তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৭। তার পরেই অশোকবাবু নিজে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন বিডিও-র কাছে। ওন্দা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের ভবানী মোদক বলেন, “বামফ্রন্টের হাত থেকে কল্যাণী পঞ্চায়েত আমাদের হাতে আসায় ওই এলাকায় উন্নয়নের কাজে গতি বাড়বে।” ফরওয়ার্ড ব্লকের ডেপুটি চেয়ারম্যান মাণিক মুখোপাধ্যায় অবশ্য এ দিন দাবি বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটের পর থেকেই এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। কল্যাণী গ্রামপঞ্চায়েতে বাম সদস্যদের ওরা জোর করে দলে টেনেছে।’’
অন্যদিকে, তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধে দলেরই সদস্যদের আনা অনাস্থার তলবি সভা স্থগিত হয়ে গেল। বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের রাউতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন দলেরই সদস্যেরা। ১৫ আসনের ওই পঞ্চায়েতে সবক’টি আসনই তৃণমুলের দখলে রয়েছে। গত ২৭ জুন ১৩ জন সদস্য পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ শেখের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিডিও-র কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা করেন। শুক্রবার দুপুরে ছিল সেই অনাস্থার তলবি সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে সদস্যদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে সভা বাতিল করে ব্লক প্রশাসন। এ দিন জয়পুরের বিডিও ধ্রুবপদ শাণ্ডিল্য বলেন, ‘‘জেলা শাসকের নির্দেশে এই সভা বাতিল করা হয়ছে। পরে সভার নতুন দিনক্ষণ সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হবে।’’