মশারি কই, প্রশ্ন শিবিরে

গ্রামে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের খোঁজ নিতে গিয়ে মশারির দাবিতে গ্রামবাসীর অসন্তোষের মুখে পড়তে হল বাঘমুণ্ডির বিএমওএইচকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:২৩
Share:

বড়গোড়ায়। নিজস্ব চিত্র

গ্রামে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের খোঁজ নিতে গিয়ে মশারির দাবিতে গ্রামবাসীর অসন্তোষের মুখে পড়তে হল বাঘমুণ্ডির বিএমওএইচকে। শনিবার জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের খোঁজ নিতে অযোধ্যাপাহাড়ের প্রত্যন্ত গ্রাম বড়গোড়াতে গিয়েছিলেন বাঘমুণ্ডির স্বাস্থ্য আধিকারিক অমরেন্দ্র রায়।

Advertisement

এ দিন গ্রামে পৌঁছে প্রাইমারি স্কুলে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিচ্ছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে গ্রামের কত জন জ্বরে ভুগছেন, তাও জানতে চান। জ্বরের উপসর্গ কী, কত দিন ধরে জ্বর রয়েছে, কোথায় চিকিৎসা করাচ্ছেন, কী কী ওষুধ খাচ্ছেন— এই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করেন তিনি। সেই সময়েই কেন মশারি টাঙিয়ে ঘুমান না, তা জানতে চাওয়ায় গ্রামের কয়েকজন প্রশ্ন তোলেন, ‘‘আমাদের গ্রামে মশারি দেওয়া হয়নি। কোথায় পাব?’’ বিএমওএইচ জানতে চান, স্বাস্থ্য দফতর থেকে তাঁরা মশারি পাননি? গ্রামবাসীদের মধ্যে কৃষ্ণপদ পাহাড়ি, ভীম পাহাড়িরা দাবি করেন, ‘‘তাঁদের মশারি দেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্য দফতরের কে, কোথা থেকে মশারি দেবে তাঁরা জানতে চান। এ নিয়ে ক্ষোভ শুরু হয়। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তাঁদের আশ্বাস দেন, তিনি এই বিষয়টি খোঁজ নেবেন।

এরপরে গ্রামে যাঁদের জ্বর রয়েছে, তাঁদের তিনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেন। বর্ষায় বা এই সময়ে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের এবং শিক্ষককে প্রয়োজনীয় কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শও দেন তিনি। বড়গোড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হীরালাল সিং সর্দার বলেন, ‘‘বিএমওএইচ আমাদের বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন।’’ পরে বিএমওএইচ জানান, মশারি নিয়ে অভিযোগ শুনেছেন। তিনি খোঁজ নেবেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন