বাড়িতে বিক্ষোভ, চক্রান্ত দেখছেন কাউন্সিলর

অভিযোগ, ওই ওয়ার্ডে তা হয়নি। এ ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের পাশবই ও চেকবই জমা রেখে ঠিকাদারকে দিয়ে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৯ ০০:০৩
Share:

জনপথে: লাভপুরে মিছিল করল তৃণমূল। তাদের দাবি, বিজেপির সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ওই শান্তি মিছিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্টেডিয়াম মাঠ থেকে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল হয়। ছিলেন দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ, অরুণ চক্রবর্তী, সাংসদ অসিত মাল। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এ দিনের মিছিলে প্রায় ৪০ হাজার লোক ছিলেন। মিছিল শেষে অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘২০২১ সাল পর্যন্ত আমাদের সরকার রয়েছে। পুলিশ-প্রশাসন রয়েছে আমাদের হাতে। বিজেপিকে ভয় করার দরকার নেই।’’ নিজস্ব চিত্র

সরকারি প্রকল্পে বাড়ি তৈরির কাজের বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদারের কাছ থেকে ‘কাটমানি’ নিয়েছেন পুরসভার কাউন্সিলর— সেই অভিযোগ তুলে ওই নেতার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন উপভোক্তাদের একাংশ। বৃহস্পতিবার সকালে সাঁইথিয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোপীনাথ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে। কাউন্সিলর ও ঠিকাদার অবশ্য অভিযোগ মানেননি। কাউন্সিলরের দাবি, ‘‘সব বিজেপির চক্রান্ত।’’ তা উড়িয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে সাঁইথিয়া পুরসভায় ‘সবার জন্য বাড়ি’ প্রকল্পে ৯০০ জন উপভোক্তার নামে অনুদান বরাদ্দ হয়। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বরাদ্দ হয় ৫৮টি বাড়ির অনুদান। নিয়ম অনুযায়ী, ওই প্রকল্পে গৃহহীন, প্রকৃত দুঃস্থ পরিবারকে বাড়ি তৈরির অনুদান বাবদ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় দেড় লক্ষ, রাজ্য সরকার দেয় ১ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা। উপভোক্তাকে দিতে হয় ২৫ হাজার টাকা। টাকা যথাযথ ভাবে ব্যবহারের শংসাপত্র দাখিল করা হলে চার দফায় সরকারি টাকা উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়।

অভিযোগ, ওই ওয়ার্ডে তা হয়নি। এ ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের পাশবই ও চেকবই জমা রেখে ঠিকাদারকে দিয়ে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। সরকারি ‘সিডিউল’ অনুযায়ী কাজ না করে ঠিকাদার ‘কাটমানি’ দিয়েছেন পুর-কাউন্সিলরকে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদার অমর চৌধুরী এবং অর্ণব মুখোপাধ্যায়। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘উপভোক্তারা অনেকেই উদ্বৃত্ত টাকা দেওয়ার চুক্তি করেই সিডিউলের বাড়তি কাজ করিয়ে নিয়েছেন। সেই কাজ করানোর টাকাই তাদের কাছে চাওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর গোপীনাথবাবুও। তিনি বলেন, ‘‘শৌচাগার ও রান্নাঘর সহ উপভোক্তাদের ৩৪৬ বর্গফুটের বাড়ি পাওয়ার কথা। ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে মাপ করে সেই পরিমাপ তাঁদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। বাড়ি তৈরির সময় কেউ কোনও অভিযোগ করেননি। এখন বিজেপির প্ররোচনায় মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’ বিজেপির স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা কমিটির সদস্য কাশীনাথ মণ্ডল এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘কাটমানির জন্যই যে কাজ উপভোক্তাদের নিজেদের করার কথা, সেই কাজে ঠিকাদার নিয়োগ করেছে পুরসভা।’’

পুরপ্রধান বিপ্লব দত্ত জানান, ২০১৬ সালে ওই প্রকল্পে ১৬০টি বাড়ি তৈরির অনুদান মিলেছিল। সেই টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে জমা করে দেওয়া হয়। কিন্তু উপভোক্তারা সময়মতো বাড়ি তৈরি করে টাকা ব্যবহারের শংসাপত্র জমা দিতে পারেননি। তাই পরের বছর পুরসভা বাড়ি তৈরির অনুদান পায়নি। সেই কথা মাথায় রেখে উপভোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই বাড়ি তৈরিতে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন