পৌষ মাস পড়তেই পিকনিকে মেতে ওঠে বাঙালি। ১ জানুয়ারি তার হিড়িক চোখে পড়ার মতো। সাঁইথিয়া ও সংলগ্ন এলাকার লোকজনের কাছাকাছি পিকনিক স্পট বলতে দেরিয়াপুর এলাকার সঙ্কেস্বরীতলা, আমবাগান, হানাবাড়ি বা ময়ূরেশ্বর এলাকার নারায়ণঘাটির বাগান। সব জায়গাই ময়ূরাক্ষী নদীর উত্তরপাড়ে। পিকনিক দলগুলির কথায়, ওইসব জায়গায় পিকনিক করা হয় ঠিকই, কিন্তু পিকনিক করার মতো কোনও ব্যবস্থা নেই। সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘নদীর ধারের মন্দির চত্বরকে ঘিরে পিকনক স্পট হতেই পারে। আবেদন পত্র পেলে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এ দিন ময়ূরেশ্বর এলাকার নারায়ণঘাটির বাগানে পিকনিক করতে আসা স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘ওই স্পটগুলিতে পিকনিক হয় ঠিকই। কিন্তু জল পরিষ্কার নয়। প্রশাসন যদি জল পরিস্কার ও জায়গাগুলি পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা করে তাহলে খুব ভাল হয়।’’ ঘটনা হল, সাঁইথিয়া এলাকায় পিকনিক করার তেমন স্পট নেই। তাই পৌষমাস শুরু হতেই হাঁড়ি, কড়াই জ্বালানি হাতে আবাল বৃদ্ধ বনিতারা দলে দলে নদীর পাড়ের আমবাগান, হানাবাড়ি বা নারায়ণঘাটি বাগানেই ভিড় করেন।
সাঁইথিয়া লাউতোড়ের অলীক মজুমদার, জগন্নাথ সাউ, দুর্গাপদ দাস, বাদল ভকতরা দাবি করেন, ওই জায়গাগুলিতে আমরা পিকনিক করতে যাই ঠিকই কিন্তু খুব নোংরা। জল নিয়েও সমস্যা হয়। অধিকাংশ পিকনিক দল গুলির সদস্যদের কথায়, পিকনক ছাড়াও অনেকে সঙ্কেশ্বরীতলায় পুজো করাতে যান। প্রশাসনের তরফে অন্তত সঙ্কেশ্বরীতলা পরিচ্ছন্ন করা, আলো ও পর্যাপ্ত জলের (টিউবওয়েল) ব্যবস্থা করে তাহলে খুব ভাল হয়। দেরিয়াপুর এলাকার সাউলডিহির রেবা মুখোপাধ্যায়, দইকোটার সন্ধ্যারানি দে, রায়হাটের বুড়ি হেমব্রম, গনেশ মণ্ডল, সজল খয়রা, নারায়ণ বাগদিরা বলেন, ‘‘ এলাকার অধিকাংশ লোকজন বারোমাস সঙ্কেশ্বরী মন্দিরে যান পুজো করাতে। ওখানে আলো, পরিচ্ছন্নতা ও পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা হওয়া উচিত।’’