খয়রাশোলে পুলিশের জালে তিন প্রতারক

বিদ্যুৎ দফতরের নাম করে লোক ঠকানোর কারবার খুলে বসায় তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গ্রাহক সেজে তিন প্রতারককে ধরে বিদ্যুৎ দফতরের বিশেষ দল ও পুলিশ। ধৃতেরা হলেন দীপ চট্টোপাধ্যায়, শুকদেব রুইদাস ও তরুণ লাহা। দীপের বাড়ি কাঁকরতলা থানা এলাকায়, বাকি দুজেনের বাড়ি খয়রাশোল থানা এলাকায়। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে খয়রাশোলে। বিজ্ঞাপনী চমক দিয়ে রীতিমতো রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন বিভাগের নামে পোস্টার সাঁটিয়ে এলাকার আগ্রহী মানুষের কাছে টাকা আদায় করছিলেন ওই তিন ব্যক্তি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খয়রাশোল শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৫ ০২:০৬
Share:

বিদ্যুৎ দফতরের নাম করে লোক ঠকানোর কারবার খুলে বসায় তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গ্রাহক সেজে তিন প্রতারককে ধরে বিদ্যুৎ দফতরের বিশেষ দল ও পুলিশ। ধৃতেরা হলেন দীপ চট্টোপাধ্যায়, শুকদেব রুইদাস ও তরুণ লাহা। দীপের বাড়ি কাঁকরতলা থানা এলাকায়, বাকি দুজেনের বাড়ি খয়রাশোল থানা এলাকায়। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে খয়রাশোলে। বিজ্ঞাপনী চমক দিয়ে রীতিমতো রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন বিভাগের নামে পোস্টার সাঁটিয়ে এলাকার আগ্রহী মানুষের কাছে টাকা আদায় করছিলেন ওই তিন ব্যক্তি।

Advertisement

বিদ্যুৎ দফতরের সিউড়ি ও বোলপুর মহকুমার দায়িত্বে যে স্পেশ্যাল অফিসারের নেতৃত্বে এ দিন অভিযান চলেছে, সেই শেখ জসিমউদ্দিন বলেন, ‘‘খয়রাশোলের কেন্দ্রগড়িয়া পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামে বেশ কিছু পোস্টারের কথা জনতে পারি। সাদা ফুলস্কেপ কাগজের উপর কম্পিউটার প্রিন্টে লেখা ‘বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়’। যোগাযোগের ঠিকানা দীপ চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিল দুটি মোবাইল নম্বর। ডাব্লুউবিএসিডিসিলের নাম ব্যবহৃত হয়েছে পোস্টারে। বিদ্যুৎ দফতরের অজান্তেই দফতরের ভাবমূর্তি এবং রেভিনিউ দুটোরই ক্ষতি হচ্ছিল। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ধরা হয় তাঁদের।’’

জানা গিয়েছে, ওই ধারনের পোস্টারে আকৃষ্ট হয়ে বেশ কয়েকটি পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য নির্দিষ্ট নম্বরে যোগাযোগ করলে, বিদ্যুতের খুঁটি থেকে তার টেনে মিটার বসিয়ে বাড়িতে সংযোগ দিচ্ছিলেন তারা। সঙ্গে পরিবার পিছু ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল। ৬০ ফুট দূরত্বের বেশি তার ব্যবহার করলে আরও টাকা নেওয়া হচ্ছিল গ্রাহকদের কাছে থেকে।

Advertisement

বিদ্যুৎ দফতর সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, খয়রাশোলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র সৌভিক মণ্ডল, স্পেশ্যাল অফিসার জসিমউদ্দিন ও পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রাহক সেজে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার নামে নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করেন। ধরা হয় তিনজনকে। জসিমউদ্দিন জানিয়েছেন, ‘‘ধৃতেরা জেরায় বলেছে, ফতেপুর, মদনপুর, রসিদপুর, বেলেডাঙা ও ভিমগড় গ্রামে ১৩টি বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন ওরা। অবাক বিষয় হল যে মিটারগুলি বসানো হয়েছে সেগুলি খোলা বাজারে বিক্রি হয় না। সর্ষের মধ্যেই ভূত কিনা পুলিশকে তদন্ত করার অনুরোধ করা হয়েছে দফতরের পক্ষ থেকে।’’

দীপ চট্টোপাধ্যায়দের অবশ্য দাবি, ‘‘মোটেই আমরা অন্যায় কাজ করছিলাম না। কারও কাছে থেকে অতিরিক্ত টাকাও নিইনি।’’ পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

আগুন। অগ্নিকাণ্ডের জেরে চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে। বৃহস্পতিবারের ঘটনা। এ দিন সকালে অফিস খোলার ঘণ্টা খানেক আগে হঠাৎই দফতরের রেকর্ড রুমের পাশের একটি ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়। দমকল কর্তাদের অনুমান, একটি পুরনো সুইচ বোর্ডে শর্ট-সার্কিটের জন্যই ওই ঘরে আগুন লেগেছিল। যদিও এই ঘটনায় তেমন একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই জানাচ্ছেন বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) পার্থ ঘোষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন