Border

তল্লাশিতে সাফল্য, গ্রেফতার পাঁচ দুষ্কৃতী

পাঁচ জন আন্তঃরাজ্য দুষ্কৃতী ধরা পড়ল সাঁতুড়ি পুলিশের হাতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁতুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৮ ০৩:১৭
Share:

ধৃত দুষ্কৃতীদের নিয়ে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার। নিজস্ব চিত্র

দুষ্কৃতীদের ঢোকা বন্ধ করতে সীমানায় নজরদারি ও তল্লাশি শুরু করেছে জেলা পুলিশ। আর তাতেই মিলল সাফল্য। পাঁচ জন আন্তঃরাজ্য দুষ্কৃতী ধরা পড়ল সাঁতুড়ি পুলিশের হাতে। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, ১১ রাউন্ড গুলি, ভোজালি ও ছুরি। তার মধ্যে একটি সেমি অটোমেটিক পিস্তলও রয়েছে। আটক করা হয়েছে একটি নম্বরবিহীন নতুন গাড়ি।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হল পাড়া থানার ভাগাবাঁধ গ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দ দে, ঝাড়খণ্ডের মানগো থানা এলাকার বাসিন্দা মণীশকুমার শ্রীবাস্তব, বিজয় মুণ্ডা, রোহিতকুমার গুপ্তা ও ঝাড়খণ্ডের উলিডি থানার বাসিন্দা অলোক শর্মা। রবিবার রাতে তাঁদের সাঁতুড়ি থানার পড়াডিহা থেকে ধরা হয়েছে। সোমবার ধৃতদের রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হলে সবার তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।

দায়িত্ব নিয়েই পুরুলিয়ার এসপি আকাশ মাঘারিয়া জেলার সমস্ত থানার আন্তঃজেলা ও আন্তঃরাজ্য সীমানায় নাকা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো প্রতিটি থানা দিনের বেশির ভাগ সময়েই সীমানায় নজরদারি ও তল্লাশি চালাচ্ছে। পরীক্ষা করা হচ্ছে ভিন জেলা ও রাজ্য থেকে আসা সমস্ত গাড়ি, মোটরবাইক। এমনকি বাসে উঠেও তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘সাঁতুড়ি থানা এলাকায় নাকা করার সময়েই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে ওই পাঁচ জন দুষ্কৃতী। তাদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। একটি গাড়ি আটক করা হয়েছে। সাঁতুড়ি থানা এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে ওই দুষ্কৃতীরা রাতে গাড়ি চড়ে আসছিল।”

Advertisement

পুলিশের দাবি, ধৃতেরা সবাই আন্তঃরাজ্য দুষ্কৃতী। সাঁতুড়ির জগন্নাথডি গ্রামের অদূরে একটি পেট্রল পাম্পে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বাঁকুড়া থেকে গাড়িতে আসছিল তারা। রাতে সাঁতুড়ি থানার ওসি রানা ভকত সূত্র মারফত খবর পেয়েছিলেন একটি নম্বরবিহীন সাদা রঙের গা়ড়িতে কয়েক জন দুষ্কৃতী বাঁকুড়া থেকে সাঁতুড়ি আসছে। ডাকাতির মতলব রয়েছে তাদের। সেই মতো বাঁকুড়া-রঘুনাথপুর রাস্তায় পড়াডিহার কাছে নাকা করা পুলিশ কর্মীদের সর্তক করা হয়েছিল। কিছু ক্ষণ পরেই পৌঁছয় দুষ্কৃতীদের গাড়িটি। তল্লাশি করে আগ্নেয়াস্ত্র ও ভোজালি উদ্ধার হয়।

দুষ্কৃতীদের এই দলটিকে ধরা বড় সাফল্য বলেই দাবি করছে পুলিশ। দলটির মূল পাণ্ডা পাড়া থানার ভাগাবাঁধ গ্রামের গোবিন্দ দে। তার কাছ থেকেই সেমি অটোমেটিক পিস্তল ও ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে।

পুলিশের দাবি, গোবিন্দ মোটরবাইক ছিনতাই, তামার তার চুরির মতো একাধিক ঘটনায় অভিযুক্ত। সে-ই ঝাড়খণ্ড থেকে অন্য চার জনকে এনে সাঁতুড়ি থানা এলাকায় ডাকাতির ছক কষেছিল। পুলিশের দাবি, কয়েক দিন আগে ওই দলের কয়েক জন জগন্নাথডির পেট্রল পাম্পটিতে ঘুরে গিয়েছিল বলে জেরায় দুষ্কৃতীরা স্বীকার করেছে।

তবে গাড়িটি কার বা কী ভাবে দুষ্কৃতীরা গাড়িটি জোগাড় করেছে, সেই বিষয়ে এখনও বিশদ তথ্য পায়নি পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন