Rampurhat medical College

যন্ত্র বিকল আট মাস, পরিষেবা পাচ্ছেন না রোগী  

মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের মাইক্রো সার্জারি যন্ত্র বিকল হয়ে আছে। ফলে মাইক্রো সার্জারি অস্ত্রোপচার বা ল্যাপ্রোস্কোপি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।

Advertisement

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৩৮
Share:

ফাইল চিত্র।

দীর্ঘ আট মাসেরও বেশি মাইক্রোসার্জারির যন্ত্র বিকল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। স্বাস্থ্য ভবনে একাধিকবার জানিয়েও সেই যন্ত্র সারানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে উন্নত এবং আধুনিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।

Advertisement

মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের মাইক্রো সার্জারি যন্ত্র বিকল হয়ে আছে। ফলে মাইক্রো সার্জারি অস্ত্রোপচার বা ল্যাপ্রোস্কোপি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। মেডিক্যালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, মাইক্রো সার্জারি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গলব্লাডার, অ্যাপেনডিক্স অস্ত্রোপচার করা হতো। যন্ত্র বিকল হওয়ার আগে পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে ১৫ টি অস্ত্রোপচার হত। যন্ত্র খারাপ হওয়ার আগে রোগীদের অস্ত্রোপচার করার জন্য বিভিন্ন দিনও ধার্য করে দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা ওই দিনে হাসপাতালে এসে ঘুরে যাচ্ছেন।

মাইক্রোসার্জারি যন্ত্র ঠিক না হওয়ার ফলে বাধ্য হয়ে অনেক রোগীর পেট কেটে অস্ত্রোপচার করতে হচ্ছে। ফলে রোগীদের অন্তত সাতদিন হাসপাতালের শয্যায় থাকতে হচ্ছে। কিন্তু মাইক্রো সার্জারি অস্ত্রোপচার করলে হাসপাতাল থেকে একদিন পরেই রোগীরা ছাড়া পেয়ে যেতেন। সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান,

Advertisement

মাইক্রো সার্জারি অস্ত্রোপচার করলে অস্ত্রোপচারের জটিলতা কম থাকে। এর ফলে রোগীরা খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যান। সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যেই আবার স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে পারেন রোগী। এখন সে সব বন্ধ।

রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি পলাশ দাস বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন থেকে হাসপাতালের মাইক্রো সার্জারি যন্ত্র বিকল। স্বাস্থ্য ভবনে একাধিকবার বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যন্ত্র মেরামত করা হয়নি। শেষ পর্যন্ত রোগীদের স্বার্থে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদের উদ্যোগে যন্ত্রটি মেরামত করতে উদ্যোগী হয়েছেন।’’ রামপুরহাট মেডিক্যালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যন্ত্র খারাপ থাকার বিষয়টি জানা ছিল না। দ্রুত সমস্যার সমাধান করার জন্য স্বাস্থ্য ভবনে বিষয়টি জানানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন