আম্রকুঞ্জে নজর ১০০ ক্যামেরার 

১১ নভেম্বর বিশ্বভারতীতে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রথা অনুযায়ী বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থাকার কথা। কিন্তু এবার আচার্য না আসতে পারায় বিশ্বভারতীর পরিদর্শক তথা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ আসছেন।

Advertisement

বাসুদেব ঘোষ

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৯ ০০:১৭
Share:

প্রস্তুতি: বিশ্বভারতীতে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুর সঙ্গে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

সমাবর্তনের প্রস্তুতি তুঙ্গে। প্রায় ১০০টি সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে থাকছে বিশ্বভারতীর আম্রকুঞ্জ এবং নাট্যঘর। নিম্নচাপ বুলবুলের জেরে বৃষ্টি-বাদলের কথা মাথায় রেখেই বিকল্প অনুষ্ঠান স্থল হিসেবে নাট্যঘরকেও তৈরি রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর আধিকারিকেরা। এবারের সমাবর্তন হবে প্লাস্টিক মুক্ত। তাই জলের পাউচ বা বোতল নিয়ে ঢোকা যাবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠানের জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমাণে জলের ব্যবস্থা ও বসার জায়গা থাকার কথা জানিয়েছেন।

Advertisement

১১ নভেম্বর বিশ্বভারতীতে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রথা অনুযায়ী বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থাকার কথা। কিন্তু এবার আচার্য না আসতে পারায় বিশ্বভারতীর পরিদর্শক তথা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ আসছেন। সমাবর্তনের একদিন আগেই শান্তিনিকেতনে সস্ত্রীক পৌঁছোবেন রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিশ্বভারতীর চিরাচরিত প্রথা মেনে সমাবর্তন অনুষ্ঠান আম্রকুঞ্জে হওয়ার কথা। কিন্তু আনন্দমেলার সময়ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভণ্ডুল হয়েছিল অনুষ্ঠান। এবারও নিম্নচাপের ভ্রুকুটি চিন্তায় ফেলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। এতবড় অনুষ্ঠান যাতে বৃষ্টির জন্য ভেস্তে না যায় তাই আগেভাগেই নাট্যঘরকে বিকল্প অনুষ্ঠানস্থল হিসেবে সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে।

২০১৩ সালের সমাবর্তনের পর বিশ্বভারতীতে সমাবর্তন বেশ কয়েক বছর বন্ধ ছিল। ওই বছর বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ সম্মান দেশিকোত্তম, অবন গগন এবং রথীন্দ্র পুরস্কার তিনটি দেওয়া হয়েছিল। তারপর ২০১৮ সালে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেনের তত্ত্বাবধানে সমাবর্তন হয়। সেইবার দেশিকোত্তম, অবন গগন এবং রথীন্দ্র পুরস্কারের জন্য পুরস্কার প্রাপকদের নাম মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে পাঠালেও মন্ত্রক শেষ পর্যন্ত সম্মতি না দেওয়ায় কোনও পুরস্কারই দেওয়া যায়নি। এবার পুরস্কারের জন্য মন্ত্রকে কোনও নামই পাঠায়নি বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার সমাবর্তনে ২০১৮ ও ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ৪৭২৫ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তরদের শংসাপত্র দেওয়া হবে এবং প্রতীকী হিসেবে কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীকে সপ্তপর্ণী দেওয়া হবে। একইসঙ্গে এবারের সমাবর্তনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী, আশ্রমিক, প্রাক্তন উপাচার্য-সহ সাংসদ ও বিধায়কদের।

Advertisement

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ নভেম্বর সকাল সাড়ে দশটায় আম্রকুঞ্জে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপাল। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। অনুষ্ঠানে উত্তরীয় পরিয়ে তাঁদের বরণ করা হবে। রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবির রেপ্লিকা তুলে দেওয়া হবে তাঁদের হাতে। যদিও এখনও কতগুলি ছবি বা রবীন্দ্রনাথের কোন সময়ের আঁকা ছবি উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হবে তা ঠিক করা হয়নি বলে বিশ্বভারতী সূত্রে খবর। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, ‘‘সমাবর্তনের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে, রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নিরাপত্তা আঁটোসাটো করা হচ্ছে। পাশাপাশি অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার আয়োজন করছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন