আবির মাখলেন কংগ্রেস কর্মীরা

পুরুলিয়া শহরের নর্থ লেক রোডের জেলা কংগ্রেস অফিসে যখন মঙ্গলবার দিনভর কর্মীদের উচ্ছ্বাস, কোলাহলে মেতে থাকল, সেই সময় ততটাই ঝিমিয়ে রইল নিমটাঁড় এলাকায় বিজেপির জেলা অফিস। বিকেলেই সেখানে দরজায় তালা ঝুলতে দেখা গেল। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:৫৯
Share:

দুই ছবি: পুরুলিয়ায় কংগ্রেস ও বিজেপির অফিসের সামনে। মঙ্গলবার বিকেলে। ছবি: সুজিত মাহাতো

তিন রাজ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দল। সেই খবরে উল্লাসে মাতলেন পুরুলিয়ার কংগ্রেস কর্মীরা। মাখলেন আবির। হল মিষ্টিমুখও।

Advertisement

পুরুলিয়া শহরের নর্থ লেক রোডের জেলা কংগ্রেস অফিসে যখন মঙ্গলবার দিনভর কর্মীদের উচ্ছ্বাস, কোলাহলে মেতে থাকল, সেই সময় ততটাই ঝিমিয়ে রইল নিমটাঁড় এলাকায় বিজেপির জেলা অফিস। বিকেলেই সেখানে দরজায় তালা ঝুলতে দেখা গেল।

পুরুলিয়ার রাজনীতিতে অবশ্য তৃণমূলের প্রধান বিরোধী এখন বিজেপিই। কংগ্রেস কিছু নির্দিষ্ট এলাকাতেই সীমাবদ্ধ। তবুও রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীশগঢ়ে বিধানসভা নির্বাচনে দলের সাফল্যের খবর আসতে শুরু করতেই জেলার কংগ্রেস কর্মীরা উৎসবে মেতে ওঠেন। জেলা কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘সামনেই লোকসভা ভোট। তিনটি রাজ্যে দলের এই সাফল্য অবশ্যই আমাদের লড়াইয়ে উৎসাহ জোগাচ্ছে। সে কারণেই উচ্ছ্বাস।’’

Advertisement

রোজকারের মতোই এ দিন সকালেও জেলা কংগ্রেস অফিস খুলে সকালে গিয়ে বসেন সমীর বাউড়ি। সঙ্গে গুটি কয় কর্মী। চলে আসেন দলের জেলা সহ-সভাপতি উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা বাড়তেই দলে দলে হাজির হন যুব কংগ্রেস কর্মীরা। সময় যত গড়িয়েছে ততই ভিড়ও বেড়েছে অফিসে। শহর লাগোয়া বিভিন্ন এলাকা থেকেও যুব কংগ্রেসের কর্মীরা মোটরবাইক নিয়ে হাজির হয়েছেন।

কেউ কেউ দৌড়ে গিয়ে সবুজ আবির নিয়ে আসেন। কেউ কেউ লাড্ডু কিনে আনেন। টিভিতে চোখ রাখার সঙ্গেই চলে মিষ্টিমুখ। রাজ্য যুব কংগ্রেসের সম্পাদক সব্যসাচী সেন, কর্মী সুকান্ত মাহাতো, পল্লব সাহানি জানান, মোটরবাইক নিয়ে তাঁরা শহরে মিছিল বের করেন। উত্তমবাবু বলেন, ‘‘কর্মীদের শারীরিক ভাষাই বদলে গিয়েছে। সবাই উজ্জীবিত।’’

কিছু দিন আগে দলের জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতোর মা মারা গিয়েছেন। তবুও এ দিন সকাল থেকেই টিভিতে চোখ রেখেছিলেন। মোবাইলে জেলা অফিসের খবর পাচ্ছিলেন। পরে এলাহাবাদে মায়ের অস্থি বিসর্জন দিতে রওনা হন তিনি। নেপালবাবু বলেন, ‘‘এ দিন নানা প্রান্ত থেকে কর্মীদের ফোন পেয়েছি। কংগ্রেসের সাফল্যে সবাই খুবই খুশি।’’

বিজেপির অফিসে উল্টো ছবি। বাসিন্দারা জানান, সকাল থেকেই সেখানে লোকজন দেখা যায়নি। দলের জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী ছিলেন রঘুনাথপুর ১ ব্লকে। তিনি বলেন, ‘‘আমি বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছি। আমাদের অফিস প্রতিদিন এক জন খোলেন। এ দিন হয়তো কোন কাজে তিনি বাইরে গিয়েছেন। সে জন্য তালা দেওয়া হতে পারে।’’

তবে, তিন রাজ্যে বিজেপির ধাক্কা খাওয়ার জন্য কর্মীরা অফিসমুখো হননি বলে মানতে চাননি বিদ্যাসাগরবাবু। তাঁর দাবি, ‘‘জেলা অফিসে নির্দিষ্ট দিনে সকলে যান। তাছাড়া এখন সকলেই নানা কর্মসূচিতে ব্যস্ত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন