Sainthiya

লাইনে ফাটল, ট্রেন থামালেন বাসিন্দারাই

পূর্ব রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সময়ে সজাগ না হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। লাইনে নজরদারি বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২০ ০১:১৯
Share:

আমোদপুরে বুধবার। নিজস্ব চিত্র।

লাইনে ফাটল দেখে তৎপর হয়ে ট্রেন থামিয়ে দিলেন গ্রামবাসী। বুধবার সকালে সাঁইথিয়ার কুসুমযাত্রা নতুনপল্লির কাছে হাওড়া–রামপুরহাট রেলপথের এই ঘটনায় বাসিন্দাদের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছে রেল।

Advertisement

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে রামপুরহাট স্টেশন থেকে বর্ধমান রওনা দেয় রেলেরই কর্মীদের জন্য চলা বিশেষ ট্রেনটি। সাড়ে ৯টা নাগাদ কুসুমযাত্রা গ্রামের পাশ দিয়ে ট্রেনটির যাওয়ার কথা ছিল। তার আগে ওই লাইনে পার হয় একটি মালগাড়ি। সেই সময় লাইনের ধারে দাঁড়িয়েছিলেন গ্রামেরই বাসিন্দা, প্রান্তিক চাষি প্রদীপ সরকার। তাঁর কথায়, ‘‘মালগাড়ি যাওয়ার সময় বিকট আওয়াজে সন্দেহ হয়। কাছে গিয়ে দেখতে পাই লাইনে প্রায় ইঞ্চি তিনেক ফাটল। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়ে সংলগ্ন রেলগেটের কর্মীকে খবর দিই।’’

রেলগেটের কর্মী ফোনে খবরটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সেই সময় প্রদীপবাবুর কানে আসে বিশেষ ট্রেনের শব্দ। তিনি তখন গ্রামবাসী জীবন দাস, ধ্রুব দাস, মিহির পটুয়াদের জুটিয়ে নিয়ে গামছা ওড়াতে ওড়াতে লাইনের পাশ দিয়ে ছুটতে শুরু করেন। তাঁদের ছুটতে দেখে ট্রেনের ইঞ্জিনটি ফাটল পার হয়েই থেমে যায়। কামরা থেকে যায় ফাটলের অন্য পারে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে লাইন মেরামতের পরে ট্রেনটিকে বর্ধমানের দিকে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

প্রদীপবাবুদের কথায়, ‘‘শুনেছিলাম গামছা জাতীয় কিছু ওড়ালে ট্রেন থেমে যায়। তাই রেলগেটের কর্মীর ভরসায় বসে না থেকে গামছা নিয়ে ছুটতে শুরু করি।’’ ওই ট্রেনেই ছিলেন রেলকর্মী মল্লারপুরের সুভাষ পাল, সাঁইথিয়ার সজল চন্দ্ররা। তাঁরা বলেন, ‘‘ভাগ্যিস ফাটলটা ওঁদের চোখে পড়েছিল। না হলে কী হত কে জানে!’’ পূর্ব রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সময়ে সজাগ না হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। লাইনে নজরদারি বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন