নজরে: বাঁকুড়া-রানিগঞ্জ (৬০ নম্বর) জাতীয় সড়কের বিপজ্জনক এলাকাগুলিতে সর্বোচ্চ গতিবেগ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা মানা হচ্ছে কি? শুক্রবার তা দেখতে স্পিড-লেজার যন্ত্র নিয়ে পথে নামল পুলিশ। এক দিনেই জরিমানা করা হল তিরিশটি গাড়ির। ছবি: অভিজিৎ সিংহ
মুর্শিদাবাদের দুর্ঘটনার পরে পথে গতির রাশ টানতে এ বার একগুচ্ছ পদক্ষেপ করতে চলেছে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে যেমন স্পিড মনিটরিং ক্যামেরা লাগানোর প্রকল্প রয়েছে, বাস মালিকদের সংগঠনের সঙ্গেও বসা হচ্ছে বৈঠকে। জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায় জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তার পরে পথ নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে সচেতন হতে বিভিন্ন দফতরকে বলা হয়েছে। আগামী রবিবার জেলা বাস মালিকদের সংগঠন ও যাত্রী পরিবহণের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হবে।
যে সমস্ত রাস্তায় যানবাহনের গতি বেশি, সেখানে স্পিড ব্রেকার বসানো হবে। সেই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাগুলিতে গার্ড রেল বসিয়ে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘হাইস্পিড জোনের রাস্তাগুলিতে পুলিশ গার্ড রেল বসাবে। পূর্ত দফতর স্পিড ব্রেকার বসানোর কাজ করবে।’’ তিনি জানান, কয়েকটি রাস্তায় স্পিড মনিটরিং ক্যামেরা বসানোর জন্য একটি প্রকল্প পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়া রাস্তায় পুলিশি নজরদারি আরও কড়া করা হবে। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার বিভিন্ন রাস্তার উঁচু সেতুগুলিতে ক্র্যাশ ব্যারিয়ার লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এর জন্য আগামী সপ্তাহেই দরপত্র আহ্বান করা হবে।’’
সোমবার সকাল সওয়া সাতটা নাগাদ মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৭০ ফুট গভীর বিলে পড়ে যায় যাত্রিবোঝাই একটি বাস। মৃত্যু হয় অনেকের। ওই আধিকারিক জানান, মুর্শিদাবাদের দুর্ঘটনার পরে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের পুরুলিয়া ডিপোর চালকদের সতর্ক করা হয়েছে। ওই ডিপোর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো বা গাড়ি চালানোর সময়ে মোবাইল ব্যবহারের উপরে সতর্কতা আগেও ছিল। এই দুর্ঘটনার পরে সে কথা আরও ভাল ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
জেলা বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক প্রতিভারঞ্জন সেনগুপ্ত জানান, রবিবার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে কী হয় তা দেখে চালকদের নিয়ে বসবেন তাঁরা। পুরুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল বিভাস দাসও জানিয়েছেন, পুরসভার পক্ষ থেকে প্রচারপত্র ছাপিয়ে সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে।