Coronavirus

বিষ্ণুপুরে ‘সেফ হাউস’

মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) অনুপকুমার দত্ত বুধবার বলেন, “উপসর্গহীন যে সব  করোনা ‘পজ়িটিভ’ রোগীর বাড়িতে থাকার জায়গা নেই, কেবল তাঁদেরই রাখা হবে লালগড়ের ডে-কেয়ার সেন্টারে। আপাতত সর্বাধিক ৪০ জন থাকতে পারবেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০ ০২:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে বিষ্ণুপুরে চালু হল ‘সেফ হাউস’। লক্ষণহীন করোনা আক্রান্তদের এখানে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বাইরে থেকে আসা উপসর্গহীন করোনা- আক্রান্তদের থাকা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল নানা স্তরে। তাঁদের থাকা ও সুচিকিৎসার জন্য বিষ্ণুপুরের লালগড়ের ‘ডে-কেয়ার সেন্টার’-কেই আপাতত ‘সেফ হাউস’-এ রূপ দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।

Advertisement

মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) অনুপকুমার দত্ত বুধবার বলেন, “উপসর্গহীন যে সব করোনা ‘পজ়িটিভ’ রোগীর বাড়িতে থাকার জায়গা নেই, কেবল তাঁদেরই রাখা হবে লালগড়ের ডে-কেয়ার সেন্টারে। আপাতত সর্বাধিক ৪০ জন থাকতে পারবেন।’’ তিনি জানান, প্রশাসনিক উদ্যোগে প্রথমেই তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে প্রয়োজনীয় জিনিসের একটি ‘কিট’। খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা, যাবতীয় ব্যবস্থা থাকছে। বাড়তে থাকা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে এই আয়োজন। তিন দিন পরপর ‘কোভিড টেস্ট’ করে ‘নেগেটিভ’ হলে, তবেই রোগী ছাড়া পাবেন।

মহকুমাশাসকের সংযোজন, “সপ্তাহখানেকের মধ্যেই প্রতিটি ব্লকে একটি করে এই ধরনের ‘সেফ হাউস’ চালুর জন্য মহকুমাস্তরে বিডিও-দের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্লকভিত্তিক ‘সেফ হাউস’ তৈরি হলে বিষ্ণুপুরের উপরে চাপ অনেকটা যেমন কমবে, তেমনই দূরের ব্লক থেকে মানুষকে বিষ্ণুপুরে ছুটে আসতে হবে না।”

Advertisement

বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য-জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার এ দিন জানান, স্বাস্থ্য দফতরের ‘গাইডলাইন’ মেনে বিষ্ণুপুরের লালগড়ে ‘সেফ হাউস’ তৈরি করা হয়েছে। দিবারাত্রি বিদ্যুৎ ও জলের ব্যবস্থা থাকছে। দিনে দু’বার ‘মেডিক্যাল টিম’ রোগীদের পর্যবেক্ষণ করবেন। তাঁর কথায়, ‘‘দলে এক জন মেডিক্যাল অফিসার, নার্স ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী থাকবেন। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকবেন সিভিক ভলান্টিয়ার। পাশাপাশি, রোগীদের মনোবল বাড়ানোর জন্য তিন জন কোভিড-জয়ী যোদ্ধা থাকবেন।’’ ইতিমধ্যেই বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্যজেলায় মোট ২২ জন ‘কোভিড জয়ী’ যোদ্ধা নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জেলাশাসক এস অরুণপ্রসাদ বলেন, ‘‘বিষ্ণুপুরের সঙ্গে ছাতনা ও খাতড়ার ‘সেফ হাউস’ দু’টিও করোনা-আক্রান্তদের রাখার জন্য তৈরি। জেলার প্রতিটি ব্লকেই এমন ‘সেফ হাউস’ তৈরি করতে পরিকল্পনা নিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন