প্রতীক্ষার অবসান, হাসপাতাল পেয়ে খুশি সাঁইথিয়া

দাবি ছিল দীর্ঘ দিনের। কিন্তু এতদিন মিলেছে শুধু হচ্ছে হবে আশ্বাস। অবশেষে স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ছাড়পত্র পেল সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৭ ০২:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

দাবি ছিল দীর্ঘ দিনের। কিন্তু এতদিন মিলেছে শুধু হচ্ছে হবে আশ্বাস। অবশেষে স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ছাড়পত্র পেল সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতাল। বোলপুরের প্রশাসনিক বৈঠকের পর একগুচ্ছ প্রকল্পের পাশাপাশি সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতালকে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বভাবতই স্থানীয় জনমানসে বইছে এখন খুশির হাওয়া।

Advertisement

স্বাস্থ্যদফতর এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৯১৯ সালে স্থানীয় শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষজনের সহযোগিতায় ডিসপেনসারি হিসাবে ওই হাসপাতালের সূচনা হয়। ১৯৮৫ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উন্নীত হয় সেদিনের সেই ডিসপেনসারি। ২০০১ সালে মেলে গ্রামীণ হাসপাতালের স্বীকৃতি। কিন্তু হাসপাতালের উপর চাপ উত্তরোতর বাড়তেই থাকে। কারণ শুধু সাঁইথিয়া থানা এলাকাই নয়, ওই হাসপাতালের উপরেই লাগোয়া ময়ূরেশ্বর, লাভপুর থানা এলাকারও বিস্তৃর্ণ অঞ্চলের মানুষজনও নির্ভরশীল। কিন্তু উন্নত পরিকাঠামোর অভাবে ওইসব রোগীদের ভর্তি নেওয়ার পরই সিউড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সব থেকে সমস্যা হয় দুর্ঘটনায় আহতদের নিয়ে। অন্যান্য হাসপাতালের তুলনায় অধিকতর কম দুরত্বের কারণে আহতদের প্রথমেই সাঁইথিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রেও অন্যত্র রেফার করা হয়। আর তাই নিয়ে হামেশায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তাই সেই বাম আমল থেকেই হাসপাতালটিকে স্টেট জেনারেলে রূপান্তরের দাবি ওঠে। কিন্তু আশ্বাস শোনা ছাড়া কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।

এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে অন্যতম ইস্যুই ছিল হাসপাতালের উচ্চস্তরে অনুমোদন। এ বারে বামদুর্গ হিসাবে পরিচিত সাঁইথিয়া আসনটি দখল করেছেন তৃণমূলের নীলাবতী সাহা। তারপরেই ওই ঘোষণা। সেই জয়েরই ফল বলে মনে করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। স্বভাবতই ওই ঘোষণার পর এলাকায় বইছে খুশির হাওয়া। অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক পিনাকীরঞ্জন রায়, ব্যবসায়ী অশোক চৌধুরী, গৃহবধু মৌ বন্দ্যোপাধ্যায়রা জানান, বিধায়কের জন্যই এমনটা সম্ভব হল। চিকিৎসার জন্য আর আমাদের অন্যত্র যেতে হবে না, এর থেকে ভালো আর কিই বা হতে পারে।

Advertisement

অন্যদিকে বিধায়ক নীলাবতী সাহা বলেন, ‘‘হাসপাতালের উন্নয়নের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করেছিলাম। উনি বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করেই স্টেট জেনারেল হাসপাতালে রূপান্তরের ঘোষণা করেছেন। এর ফলে এলাকার মানুষজন চরম উপকৃত হবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন