অবশেষে বিশ্বভারতীতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি মিলল। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দিল্লিতে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমতি দেন বিশ্বভারতীর আচার্য তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনুমতি মেলার ফলে এ বার উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি তৈরি করার পদ্ধতি শুরু করা সম্ভব হবে বলেও বিশ্বভারতী সূত্রে খবর। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন বলেন, ‘‘আচার্য আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট মিটিং করার অনুমতি দিয়েছেন। সম্ভবত ৭ মে শান্তিনিকেতনে সেই মিটিং হবে।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী, বিশ্বভারতীর উপাচার্য নিয়োগের জন্য যে সার্চ কমিটি তৈরি হবে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি থেকে একজন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট থেকে সদস্য হিসেবে একজনের নাম প্রস্তাব করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক তথা দেশের রাষ্ট্রপতি অপর একজনকে নিয়োগ করবেন। তিনিই হবেন সার্চ কমিটির সভাপতি। সার্চ কমিটি উপাচার্য নিয়োগের জন্য কয়েক জনের নাম সুপারিশ করবেন, সেখান থেকে চূড়ান্ত নাম বেছে নেবেন পরিদর্শক তথা দেশের রাষ্ট্রপতি।
দু’বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বভারতীতে কোনও স্থায়ী উপাচার্য নেই। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তৎকালীন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তকে বরখাস্ত করেন। সেই সময় অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক স্বপনকুমার দত্ত। ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এই পদ সামলাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যেরা। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপনকুমার দত্তের অবসর হয়ে যায়। তাঁর অবসর নেওয়ার পরে কিছু দিন উপাচার্যহীন হয়ে পড়ে বিশ্বভারতী।
এর পরে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের চিঠি অনুযায়ী ৩ ফেব্রুয়ারি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন প্রবীণতম ডিরেক্টর সবুজকলি সেন। এর মধ্যেই উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছিল। সেই কমিটি পরিদর্শক তথা তখনকার রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে একটি সম্ভাব্য উপাচার্যের নামের তালিকাও দিয়েছিল। কিন্তু, সেই সব নাম অপছন্দ হওয়ার ফলে আবার নতুন করে উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটি গঠনের পরামর্শ দেয় কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।
সেই অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য পেতে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেনের নেতৃত্বে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হন। মঙ্গলবার সে বিষয়েই আচার্যের অনুমতি পেল বিশ্বভারতী।