দলের ব্লক যুব সভাপতির পদ থেকে অপসারনের পর ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন জয়পুরের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইয়ামিন শেখ। তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তথা ব্লকের নতুন যুব সভাপতি বাবর আলি কোটালের অনুগামীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। গত সেপ্টেম্বর মাসের সেই ঘটনায় দলেই কোনঠাসা হয়েছিলেন ইয়ামিন। তারপর থেকে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসেও কিছুটা অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। অবশেষে দলেরই সদস্যদের আনা অনাস্থায় বিডিও-র ডাকা তলবিসভায় ১১ জুলাই পদ হারান তিনি। শুক্রবার তাঁর জায়গায় নতুন সভাপতি হলেন সহ-সভাপতির পদে কাজ করে আসা নবকুমার রুইদাস। এ দিন বিকেলে বিডিও (জয়পুর) ধ্রুবপদ সান্ডিল্য বলেন, ‘‘২৫ আসনের সবগুলিই তৃণমূলের। এ দিন তাঁদের মধ্যে ২৩ জন সদস্য উপস্থিত থেকে নতুন সভাপতি হিসেবে নবকুমারবাবুকে নির্বাচিত করেছেন।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সভায় ইয়ামিন ও তাঁর একমাত্র অনুগামী গণেশ মণ্ডলকে দেখা যায়নি। ইয়ামিন এ দিন দাবি করেছেন, ‘‘ওই মারামারির ঘটনায় আমি জড়িত ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছিল। পদ থেকে সরানোও হল ষড়যন্ত্র করে। আমি এর বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করেছি।’’ তৃণমূলের জয়পুর ব্লক সভাপতি স্বপন কোলে পাল্টা দাবি করেছেন, ‘‘দলের নির্দেশ মেনেই সরানো হল ইয়ামিনকে। এর মধ্যে কোনও ষড়যন্ত্র নেই।’’