বৃষ্টি-পথে দুর্ঘটনায় বাস

বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, আহত যাত্রীদের স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৯ ০০:০৯
Share:

ঘটনাস্থল: বিষ্ণুপুরের উলিয়াড়ায় শনিবার। নিজস্ব চিত্র

উল্টো দিক থেকে আসা বাসের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কায় রাস্তার পাশে উল্টে গেল একটি বাস। আহত হলেন ছয় যাত্রী। শনিবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর থানার উলিয়াড়া গ্রামের কুমোড়পাড়ায়, প্রকাশঘাট-হিংজুড়িমোড় পিচ রাস্তায়।

Advertisement

বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, আহত যাত্রীদের স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। দু’টি বাসকে আটক করে রাধানগর ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে উদ্ধারে আসা উলিয়াড়া গ্রামের মান্তু সুত্রধর, জগন্নাথ বাগদিরা জানান, প্রতিদিনের মতো প্রকাশঘাটের দিক থেকে পাত্রসায়র-তালড্যাংরা রুটের বাসটি যাচ্ছিল। উল্টো দিকে হিংজুড়ি মোড় থেকে প্রকাশঘাটের দিকে আসছিল সদ্য চালু হওয়া বর্ধমান–হুমঘর রুটের বাসটি। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ তুমুল বৃষ্টির মধ্যে তাঁরা বিকট শব্দ শুনতে পান। তাঁদের কথায়, ‘‘বেরিয়ে দেখি, বর্ধমান–হুমঘর রুটের বাসটি রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে রয়েছে। থানায় খবর দিয়ে সবাই মিলে উদ্ধারে নামি।’’

Advertisement

উল্টে যাওয়া বর্ধমান–হুমঘর রুটের বাসটির কেবিনে ছিলেন ইন্দাস থানার আমরুল গ্রামের বাসিন্দা ছবি রুইদাস। বালসি গ্রামের বাসস্টপ থেকে বাসে উঠে তিনি বিষ্ণুপুরে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ছবিদেবী দাবি করেন, ‘‘খুব বৃষ্টি হচ্ছিল। কেবিনে বসেছিলাম। উল্টো দিকের প্রকাশঘাটের দিক থেকে আসা বাসটা কোনও হর্ন না দিয়ে জোরে এসে আমাদের বাসের সামনে ধাক্কা মারল। আমাদের বাস উল্টে গেল।’’ উত্তেজনায় তখনও কাঁপছিলেন তিনি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রাধানগর থানার পুলিশ কর্মীরা। দুর্ঘটনার জেরে কিছুক্ষণ প্রকাশঘাট-হিংজুড়িমোড় রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। পুলিশ বাস দু’টি রাধানগর ফাঁড়িতে নিয়ে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এই দুর্ঘটনাকে ঘিরে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। উলিয়াড়ার বাসিন্দাদের দাবি, সময় বাঁচানোর তাড়ায় যাত্রিবাহী বাসগুলি দ্রত বেগে ছোটে। রাস্তা মসৃণ হওয়ায় ইদানীং গাড়ির গতিও বেশ বেড়ে গিয়েছে। ফলে, দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠেছে এই রাস্তা। পুলিশ-প্রশাসন নজর না দিলে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে তাঁদের দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন