Visva-Bharati University

আবার তপ্ত বিশ্বভারতী, এ বার নানা দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখাল এসএফআই

বৃহস্পতিবার এসএফআইয়ের সদস্যরা প্রথমে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। এর পর তাঁরা সেখান থেকে মিছিল করে যান উপচার্যের বাসভবনের সামনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:৪২
Share:

উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসএফআই কর্মীদের বিক্ষোভ। — নিজস্ব চিত্র।

পৌষ মেলা-সহ একাধিক দাবি নিয়ে আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস। বৃহস্পতিবার সেখানে বিক্ষোভ দেখান সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান এসএফআইয়ের সদস্যেরা। তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনের মূল দরজা টপকানোর চেষ্টা করেন। এতে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। যদিও কিছু ক্ষণ পর ওই বিক্ষোভ উঠে যায়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার এসএফআইয়ের সদস্যেরা প্রথমে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। এর পর তাঁরা সেখান থেকে মিছিল করে যান উপচার্যের বাসভবনের সামনে। তাঁরা স্লোগান দেন। পরে উপাচার্যের বাসভবনের মূল দরজা টপকানোরও চেষ্টা করেন। তাতে বাধা দেন বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা। তাতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। যদিও এর কিছু পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। এসএফআইয়ের রাজ্য সহ-সভাপতি দেবাঞ্জন দে অভিযোগ করেন, ‘‘উপাচার্য ক্যাম্পাসে বসে আরএসএস এবং বিজেপির দালালি করছেন। এখানে কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও অনেককে ভর্তি নেওয়া হয়নি। ক্যাম্পাসে ভয়-ভীতি, সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা পড়ুয়াদের মারধর করেছে। এই অচলাবস্থা চলতে পারে না।’’

গত কয়েক দিন ধরেই পড়ুয়াদের বিক্ষোভে মাঝে মাঝেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বিশ্বভারতী। বুধবারই বিদ্যুতের পদত্যাগের দাবিতে মশাল মিছিল হয় তাঁর বাড়ির দোরগোড়ায়। তার আগে গত ২৪ নভেম্বর থেকে উপাচার্যের বাংলো থেকে কিছুটা দূরে মঞ্চ বেঁধে লাগাতার অবস্থান শুরু হয়েছে পড়ুয়াদের। এর পাশাপাশি, শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা পূর্বপল্লির মাঠে করার দাবিতে চলছে আন্দোলনও। গত নভেম্বর মাসের শুরুতে এ নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান ‘শান্তিনিকেতন পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি’র সদস্যরা। বিষয়টি পৌঁছেছে আদালতেও। মঙ্গলবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, পৌষমেলার জন্য মাঠ ব্যবহার করা যাবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরই। তাঁরাই স্থির করবেন, ওই মাঠে মেলা হবে কি না। তবে উচ্চ আদালত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি আর এক বার বিবেচনা করে দেখতেও বলেছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন