লকেটের প্রচারে শাহনওয়াজ

দুপুর সাড়ে বারোটা। ময়ূরেশ্বরের কোটাসুর মোড়ে থামল কনভয়। খবর পৌঁছতে না পৌঁছতেই স্থানীয়দের ভিড়ে ভরে গেল গোটা এলাকা। কিসের এই ভিড়?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪৯
Share:

লকেটের প্রচারে কর্মীদের ঢল। নিজস্ব চিত্র।

দুপুর সাড়ে বারোটা। ময়ূরেশ্বরের কোটাসুর মোড়ে থামল কনভয়। খবর পৌঁছতে না পৌঁছতেই স্থানীয়দের ভিড়ে ভরে গেল গোটা এলাকা। কিসের এই ভিড়?

Advertisement

একটু পরেই জানাজানি হল, ময়ূরেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের জন্য প্রচারে এসেছেন শাহনওয়াজ হোসেন। বেলা যত বাড়ে সেই জানাজানিই বাড়তে থাকে। দুপুরের খাওয়া সেরে ভিড়কে সঙ্গে নিয়েই জোর প্রচারে নামেন শাহনওয়াজ। প্রথমে কলেশ্বর মোড়। সেখানে রামপুরহাট থেকে আনিয়ে রাখা ছিল একটি হুড খোলা জিপ। তাতে চেপে শুরু করেন রোড শো। ততক্ষনে কর্মী সমর্থকের সংখ্যা প্রায় আড়াইশো ছুঁয়েছে। রোড শো চলে কুষ্ঠিগিরি, কুনুটিয়া, সনকপুর, ভগিতপুর, হাজিপুর পেরিয়ে বড় তুরিগ্রামে। পথে বিজেপির কর্মী সমর্থকের সংখ্যা প্রায় হাজার দেড়েক পেরিয়ে যায়। অনুরোধ রাখতে রাখতে এ পাড়া সে পাড়া ঘুরে পাঁচটা পনের নাগাদ সেই রোড-শো আবার ফিরে আসে কোটসুর মোড়ে। ভিড় দেখে প্রার্থী, সমর্থনে আসা শাহনওয়াজ হোসেনও খুশি। তিনি বলেন, ‘‘এই প্রথমবার আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আশীর্বাদে আমরা এখানে ভোটে লড়ছি।’’ ভিড় দেখে খুশি লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। লকেট বলেন, ‘‘শাহনওয়াজবাবুর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা থাকার জন্যই উনি আমার হয়ে প্রচারে এসেছিলেন।’’

শাহনওয়াজ বলেন, ‘‘বাংলায় সারদা নারদা কাণ্ডের পর ব্রিজ ভাঙার ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস হতাশ হয়ে পড়েছে। ওদের নেতাদের আর কিছু বলার মুখ নাই। সব কিছুরই প্রমাণ আছে। তৃণমূলের কিছু নেতা তো জেল থেকেই ভোটে লড়ছেন। জর্জের সময় স্ট্রিং অপারেশনে আপনি পদত্যাগ করে ছিলেন। এখন চুপ কেন দিদি। জনতা তো এখনই নারদার হিসাব চাইছে। ভোটেই জনতা সারদার হিসেব বুঝে নেবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement