নিজেই জামিন চাইল শেখ শেরু 

ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, মারাত্মক ভাবে আঘাত করা, বেআইনি জমায়েত, অস্ত্র আইন-সহ একাধিক জামিনঅযোগ্য ধারা দিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৮ ০০:৫৭
Share:

আদালতের পথে। —নিজস্ব চিত্র।

সিউড়ি প্রশাসনিক ভবন চত্বরে বিজেপি নেতার উপর হামলার ঘটনায় ধরা পড়ল মূল অভিযুক্ত শেখ শেরু ওরফে শেখ সিদ্দিক। মঙ্গলবার রাতে সিউড়ির রুটিপাড়া থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, মারাত্মক ভাবে আঘাত করা, বেআইনি জমায়েত, অস্ত্র আইন-সহ একাধিক জামিনঅযোগ্য ধারা দিয়েছে পুলিশ। বুধবার ধৃতকে সিউড়ির সিজেএম আদালতে তোলা হয়। এক ল-ক্লার্কের মৃত্যুতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলছিল বুধবার। ধৃতের হয়ে কোনও আইনজীবী ছিলেন না। বিচারকের কাছে নিজেই নিজের জামিন চায় শেরু। খুনের চেষ্টার মতো ধারা রয়েছে বলে ধৃতের জমিনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী কেশব দেওয়াসি। মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যজিস্ট্রেট প্রকাশচন্দ্র বর্মন শেরুকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে কেন শাসকদলের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে, তা নিয়ে নালিশ জানাতে গত কাল জেলাশাসক পি মোহন গাঁধীর সঙ্গে দেখা করতে যায় বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল। অভিযোগ জানিয়ে বেরিয়ে আসার সময়ই আক্রান্ত হন বীরভূম জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডল। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতী শেখ শেরু ধারালো অস্ত্র দিয়ে কালোসোনার উপর ধাঁপিয়ে পড়ে। অস্ত্রের খোঁচায় রক্তাক্ত হন তিনি। জেলাসদর সিউড়িতে খোদ জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় চত্বরে এ ভাবে বিপক্ষের এক নেতা আক্রান্ত হওয়ায় ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। তৃণমূলের অন্দরের খবর, জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বিষয়টিকে লঘু করে দেখাতে ‘ওই নেতা পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন’ বলে জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে ‘ভিডিও ফুটেজ’ দেখে মানুষের প্রতিক্রিয়া ছিল ভিন্ন। তৃণমূলের অন্দরমহলের খবর, দল তো বটেই প্রশাসনের একাধিক শীর্ষকর্তা ওই ঘটনায় বিব্রত হন। জেলাশাসক পুলিশকে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন