ভুয়ো পরিচয়ে লুটের নালিশ

নতুনগ্রাম মোড়ের ওই বাড়িটি কিছু দিন আগে একটি এনজিও-র অফিস করা হবে বলে পশ্চিম বর্ধমানের ফরিদপুর এলাকার এক ব্যক্তি ভাড়া নেন। সম্প্রতি ওই বাড়িতে অফিসের পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বেলিয়াতোড় শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:২৮
Share:

বাঁকুড়া আদালতে তোলা হচ্ছে ধৃতদের। নিজস্ব চিত্র

নিজেদের অপরাধ দমন শাখার অফিসার পরিচয় দিয়েও পার পেলেন না। বাসিন্দাদের হাতে ঘেরাও হয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন ছয় ‘ভুয়ো আধিকারিক’। তাদের সঙ্গে ধরা পড়ে গাড়ির চালকও। বেলিয়াতোড়ের নতুনগ্রাম মোড় এলাকায় বুধবারের ঘটনা। অভিযোগ, পরিচয় ভাঁড়িয়ে একটি বেলিয়াতোড়ে একটি এনজিও-র অফিস থেকে লুটপাট চালায় তারা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হল অমিত গুপ্ত, কুণালশঙ্কর মৈত্র, চন্দন মণ্ডল, বিশ্বজিৎ কোনাই, বিপ্লব ঘোষ, মহম্মদ এরশাদ ও গাড়ির চালক বিজয়নারায়ণ দুবে। ধৃতেরা পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।

Advertisement

নতুনগ্রাম মোড়ের ওই বাড়িটি কিছু দিন আগে একটি এনজিও-র অফিস করা হবে বলে পশ্চিম বর্ধমানের ফরিদপুর এলাকার এক ব্যক্তি ভাড়া নেন। সম্প্রতি ওই বাড়িতে অফিসের পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে।

বাড়িওয়ালার ছেলে তথা এই ঘটনার অভিযোগকারী তরুণকুমার ঘোষের দাবি, বুধবার দুপুরে জনা ছয়েক লোক গাড়িতে চড়ে এসে ভাড়াবাড়ির মধ্যে ঢুকে লোকজনকে মারধর শুরু করে। সেখান থেকে দু’টি কম্পিউটার, হাজারখানেক টাকা ও বেশ কিছু নথিপত্র তারা তুলে নিয়ে গাড়ি করে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।

Advertisement

তাঁর অভিযোগ, ‘‘খবর পেয়ে সেখানে যাই। ওই অপরিচিত লোকজনদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা নিজেদের অপরাধ দমন শাখার পুলিশ কর্মী বলে দাবি করে। সন্দেহ হওয়ায় পরিচয়পত্র দেখাতে বলি। তা না চেখিয়ে উল্টে আমাকে গ্রেফতার করার হুমকি দেয়। আরও লোকজন জড়ো হয়েছিলেন। আমরা পুলিশকে খবর দিই।’’ পুলিশ গিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। রাতে ঘটনাটি নিয়ে তিনি বেলিয়াতোড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

বৃহস্পতিবার ধৃতদের বাঁকুড়া আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জনের চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়। গাড়ির চালক-সহ বাকি পাঁচ জনের ১৪ দিনের জেল হাজত হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতেরা দাবি করেছে তাঁরা সকলেই একটি স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থার কর্মকর্তা। তাঁদের অনুমতি ছাড়াই ওই স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থার নাম ব্যবহার করে বেলিয়াতোড়ের নতুনগ্রাম মোড়ের বাড়িটিতে একটি অফিস চালু করতে চলেছিল কিছু লোকজন। খবর পেয়েই তাই তাঁরা সরেজমিনে সব দেখতে বেলিয়াতোড়ে এসেছিলেন। পুলিশের অনুমান, ধৃতেরা এবং নতুনগ্রামের বাড়িটি যাঁরা ভাড়া নিয়েছিলেন, তাঁরা সকলেই একই স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থার কর্মী। ঠিক কী কারণে এই গোলমাল, তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ওই ভাড়াটিয়াদেরও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

মাসখানেক আগে গঙ্গাজলঘাটি থানা এলাকাতে অপরাধ দমন শাখার কর্তার পরিচয়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন