Coal mine

সামাজিক সমীক্ষার কাজ শুরু ডেউচায়

বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, এই ধরনের সমীক্ষার উপর ভিত্তি করেই পুনর্বাসন প্যাকেজ ঠিক হয়। তাই এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূ্র্ণ ধাপ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২০ ০১:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

ডেউচা-পাঁচামিতে প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকায় সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন সমীক্ষার কাজে হাত পড়ল। বুধবার মহম্মদবাজারের হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েতের নিশ্চিন্তপুর মৌজায় সমীক্ষা কাজ শুরু করেন খনি গড়ার দায়িত্বে থাকা নোডাল এজেন্সি রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম বা পিডিসিএল নিযুক্ত একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা।

Advertisement

বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, এই ধরনের সমীক্ষার উপর ভিত্তি করেই পুনর্বাসন প্যাকেজ ঠিক হয়। তাই এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূ্র্ণ ধাপ। তবে, কোথাও যাতে সমীক্ষা নিয়ে ভুল বোঝবুঝি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে জেলা, ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরে একাধিক বৈঠক হয়েছে।

গত বছরের শেষ ভাগে মহম্মদবাজেরে দেশের বৃহত্তম কয়লা খনি গড়ার একক দায়িত্ব পেয়েছে রাজ্যে সরকার। জানা গিয়েছে ব্লকের ব্লকের ৫টি পঞ্চায়েত ভাঁড়কাটা, হিংলো, সেকেড্ডা, পুরাতনগ্রাম ও ডেউচার ১১টি মৌজায় মাটির নীচেই রয়েছে বিশাল কয়লা ভাণ্ডার। মৌজাগুলি হল হাটগাছা, চাঁদা, পাঁচামি, আলিনগর, মুকদমনগর, সালুগা, কাবিলনগর, নিশ্চিন্তপুর, দেওয়ানগঞ্জ, হরিণশিঙা ও বাহাদুরগঞ্জ। ধাপে ধাপে খনি গড়ার ভাবনা রয়েছে সরকারের। এলাকার মানুষকে কাউকে বঞ্চিত করে নয়, একশো শতাংশ পুনর্বাসন জিয়ে তবেই তবেই কয়লা খনির কাজে হাত দেবে সরকার—এমনই বার্তা জুলাই মাসে এলাকায় এসে দিয়ে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।

Advertisement

তার পরেই সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন সমীক্ষার কাজে শুরু করতে তৎপর হয় প্রশাসন। তবে সমীক্ষা হওয়া মানেই কয়লা খনি তৈরি হয়ে যাওয়া নয়। প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকায় সমীক্ষার কাজে হাত দেওয়ার আগে সমীক্ষা কী ও কেন, তা এলাকার মানুষকে ভাল ভাবে বোঝাতে চেয়েছিল জেলা প্রশাসন। শামিল করা হয়েছিল জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্তা, সমীক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মী থেকে স্থানীয় মানুষকে। সূত্রের খবর, বুধবার, প্রথম দিনের সমীক্ষার কাজ মসৃণ ভাবেই হয়েছে। পিডিসিএল নিযুক্ত ওই বেসরকারি সংস্থার দশ জন কর্মী মোট ৮০টি প্রশ্নমালা নিয়ে প্রস্তাবিত কয়লাখনি এলাকা ধরে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন।

জেলাশাসক জানান, সমীক্ষা থেকে কী কী তথ্য উঠে এল, তার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে একটি করে প্রতিলিপি সংশ্লিষ্ট বাড়িগুলিতে দিয়ে আসতে বলা হয়েছে। যাতে কোনও ভুল বোঝাবুঝি ভবিষ্যেতেও না হয়। তার পরও সমীক্ষার কোনও তথ্য নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে তিনি ব্লক বা জেলা প্রশাসনকে জানতে পারেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন