মুরারইয়ে বিরোধী ঘরে ভাঙন

জেলা পরিষদের এক সিপিএম সদস্য এবং এলাকায় বিরোধীদের দখলে থাকা পঞ্চায়েত থেকে বেশ কিছু সদস্য যোগ দিল তৃণমূলে। রবিবার নলহাটি এবং মুরারই বিধানসভার ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুরারই শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৬ ০১:২১
Share:

জেলা পরিষদের এক সিপিএম সদস্য এবং এলাকায় বিরোধীদের দখলে থাকা পঞ্চায়েত থেকে বেশ কিছু সদস্য যোগ দিল তৃণমূলে। রবিবার নলহাটি এবং মুরারই বিধানসভার ঘটনা।

Advertisement

এ দিন বিকেলে মুরারই থানার বোনহা হাইস্কুলে একটি অনুষ্ঠানে তৃণমূলে যোগদান করলেন নলহাটি বিধানসভার অধীন কুশমোড় ২ পঞ্চায়েত ও রুদ্রনগর পঞ্চায়েতের জেলাপরিষদ সদস্য সিপিএমের আমিনা বেগম। একই সঙ্গে কুশমোড় ২ পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের ওসমান গণি ও উপপ্রধান বান্ধবী মাল-সহ আট জন বিরোধী সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। এতে কুশমোড় ২ পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে চলে এল বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। আবার জেলা পরিষদের সদস্যা সিপিএমের আমিনা বেগম তৃণমূলে যোগদান করার জন্য জেলাপরিষদে বিরোধীদের সদস্য সংখ্যা ১৪ থেকে কমে গিয়ে দাঁড়াল ১০। সিপিএমের সদস্য ১২ থেকে ১০ এ গিয়ে দাঁড়াল। এ দিন অনুষ্ঠানে ছিলেন নলহাটি বিধানসভার মৈনুদ্দিন শামস এবং মুরারই বিধানসভার বিধায়ক আবদুর রহমান লিটন।

ছিলেন মুরারই ২ ব্লক নেতৃত্বর পাশাপাশি তৃণমূলের রামপুরহাট মহকুমার পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্য। এ দিন পাইকরে দলীয় কার্যালয়ে মিত্রপুর অঞ্চল থেকেও সিপিমের প্রধান ত্রিলোচন হালদার-সহ তিন জন সিপিএম সদস্য এবং একজন কংগ্রেস সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। এর ফলে মিত্রপুর অঞ্চলও তৃণমূলের দখলে চলে এল বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।

Advertisement

উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ২০ সদস্যের মিত্রপুর অঞ্চলে কংগ্রেস এবং সিপিএম উভয়ের ১০ জন করে সদস্য ছিল। তৃণমূলের সদস্য ছিল না। টসে জিতে সিপিএমের ত্রিলোচন হালদার প্রধান নির্বাচিত হন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের ৯ জন সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। কার্যত এ দিন বিরোধীদের যোগদানে খুশী ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আর এলাকায় বিরোধী বলে কিছু রাখব না।’’ বিরোধী শিবির থেকে তৃণমূলে যোগদানকারীরা জানায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন্নের সঙ্গে জেলাতে অনুব্রত মণ্ডলের উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গী হতে তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করেছেন।

সিপিএমের জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদার কটাক্ষ, ‘‘গণতান্ত্রিক কাঠামোয় আঘাত করে যেন তেন প্রকারে বিরোধী শূন্য করাটাই রাজ্যে এখন তৃণমূলের উন্নয়নমূলক কাজের নজির। আর প্রকৃত উন্নয়ন কী ঘটছে, তা রাজ্যের মানুষ দেখছে!’’ অন্য দিকে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, ‘‘মানুষের রায়ে ওরা জিততে পারেনি। তাই টাকা দিয়ে জনপ্রতিনিধি কেনার চেষ্টা করছে। যাঁরা দল পাল্টাচ্ছেন, সৎসাহস থাকলে পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভোটে লড়ে জিতে দেখান।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন