Murder

আট বিঘা জমি হাতাতে কৃষককে খুন! বাঁকুড়ায় প্রৌঢ় হত্যার ঘটনায় ধৃত নাবালক-সহ সাত আত্মীয়

প্রয়াত বাবার নামে থাকা ৮ বিঘে জমির দখল নিতে গিয়েই আত্মীয়দের হাতে খুন হতে হয়েছে বাঁকুড়ার রানিবাঁধের শুশুনিগেড়িয়ার বাসিন্দা গণেশ মুদিকে। এই তথ্যই হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৩ ১৭:০৪
Share:

প্রৌঢ় হত্যায় ধৃতরা। — নিজস্ব চিত্র।

প্রয়াত বাবার নামে থাকা ৮ বিঘে জমির দখল নিতে গিয়েই আত্মীয়দের হাতে খুন হতে হয়েছে বাঁকুড়ার রানিবাঁধের শুশুনিগেড়িয়ার বাসিন্দা গণেশ মুদিকে। গত ৬ মে সকালে শুশুনিগেড়িয়ার বাসিন্দা গণেশের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এমন তথ্যই পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই কাণ্ডে পুলিশ এখনও পর্যন্ত গণেশের ৭ আত্মীয়কে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, এই ৭ জন মিলেই পরিকল্পনা করে খুন করেছিলেন গণেশকে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বৃহস্পতিবার হাজির করানো হয় খাতড়া মহকুমা আদালতে। ধৃতদের মধ্যে ৬ জনকে ৫ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এক অভিযুক্ত নাবালক হওয়ায় তাকে হোমে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

গণেশের দেহ উদ্ধার হয় শুশুনিগেড়িয়া গ্রাম সংলগ্ন ভূতগেড়িয়া আমবাঁধ পুকুরের পাশের জমি থেকে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে গণেশের বাবার নামে থাকা ৮ বিঘা জমির দখল নিয়ে কিছু দিন ধরেই তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে টানাপড়েন চলছিল। তদন্তকারীদের দাবি, ওই জমি গণেশের আত্মীয়দের একাংশ এত দিন দখল করে চাষাবাদ করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি গণেশ সেই জমির নথিপত্র নিজের নামে করে জমিটি দখলের চেষ্টা করছিলেন। পুলিশের মতে, এর পর গণেশকে খুনের ছক কষেন তাঁর আত্মীয় অরবিন্দ মুদি এবং কুশ মুদি। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, তাতে সহযোগিতা করেন ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বিকাশ মুদি, আদিত্য মুদি, ধীরেন মুদি, দাসু মুদি এবং গণেশের এক নাবালক আত্মীয়। গত ৬ মে গণেশকে বাড়ি থেকে ডেকে পুকুরের ধারে নিয়ে যান দাসু। সেখানে তাঁর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় বলে পুলিশের দাবি।

বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ‘‘খুনের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে যেতেই বুধবার রাতে শুশনিগেড়িয়া গ্রামে হানা দিয়ে এই ঘটনায় যুক্ত এক নাবালক-সহ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনে ব্যবহৃত কয়েকটি রডও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এ ব্যাপারে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত কি না সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন