school

Primary School: শিক্ষক মাত্র দুই জন, বীরভূমের এই স্কুলে ১০ বছর ধরে পড়াচ্ছেন ১০ জন স্থানীয় বাসিন্দা

২০১২ সালের ২ জানুয়ারি পথ চলা শুরু করে চাঁদপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। তখন থেকেই স্কুলে রয়েছে মাত্র দু’জন শিক্ষিকা। তাঁদের পাশে গ্রামবাসীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২২ ১৮:০০
Share:

স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন গ্রামবাসীরা। — নিজস্ব চিত্র।

বিদ্যালয়ে শিক্ষক মাত্র দু’জন। তাই ছাত্রীদের পড়াতে এগিয়ে এসেছেন গ্রামের বাসিন্দারাই। তাঁরা বেতনও নেন না। এক দশক ধরে স্বেচ্ছায় গ্রামের ১০ জন বাসিন্দা পড়াচ্ছেন বীরভূমের রামপুরহাটের চাঁদপাড়া এলাকার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ২০১২ সালের ২ জানুয়ারি পথ চলা শুরু করে চাঁদপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। তখন থেকেই স্কুলে রয়েছেন মাত্র দু’জন শিক্ষিকা। বর্তমানে এক শিক্ষিকা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। প্রথমে এই স্কুলে অষ্টম শ্রেণি অবধি পড়াশোনা হত। ২০১৬ সাল থেকে এই স্কুল মাধ্যমিক স্তরে উত্তীর্ণ হয়। বিদ্যালয়ের ছাত্রী সংখ্যা এখন ৩০০। শিক্ষক না থাকায় গ্রামের ১০ জন এগিয়ে এসেছেন এই বিদ্যালয়কে বাঁচাতে। ১০ বছর ধরে তাঁরা বিনা পারিশ্রমিকেই পড়িয়ে যাচ্ছেন।

ওই স্কুলে অঙ্ক দেখান সুব্রত মণ্ডল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা। তাঁর কথায়, ‘‘আমি গৃহশিক্ষকতা করি। অঙ্ক করাই। তাই সময় পেলেই এই স্কুলে এসে পড়াই। আমরা বিনা পারিশ্রমিকেই এই কাজটা করি। আমার ভাল লাগে।’’

Advertisement

সমরকুমার সিন্‌হা নামে অন্য এক গ্রামবাসীর কথায়, ‘‘এই স্কুলের জন্য এক সময় আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। আগে গ্রামের কয়েক জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পড়াতেন এখানে। এখন তরুণরাও আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। গ্রামের মেয়েরা যেন শিক্ষিত হয় সেটা আমাদের উদ্দেশ্য।’’

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা পূর্ণিমা সরকার বলেন, ‘‘আমরা মাত্র দু’জন শিক্ষক এখানে। তবে গ্রামবাসীরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাই স্কুলটা চালিয়ে যাচ্ছি। আরও কয়েক জন শিক্ষক হলে ভাল হয়। এই স্কুলের সঙ্গে আমার আবেগ জড়িয়ে আছে। কারণ স্কুলের একটা একটা ইট গাঁথা হতে আমি দেখেছি। শিক্ষক না পেলে হয়তো স্কুলটা বন্ধ হয়ে যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement