একটি বেল গাছে হাত দেওয়ার অপরাধে মানসিক ভারসাম্যহীন এক আদিবাসী বৃদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁরই ছেলে এবং স্থানীয় কয়েক জন যুবকের বিরুদ্ধে।
শনিবার সকালে মহম্মদবাজারের দেউচার জামবুনির ঘটনা। আক্রান্ত মহিলার মেয়ের আরও দাবি, মারধরের পাশাপাশি ওই যুবকেরা তাঁর মাকে ডাইনি অপবাদও দিয়েছেন। খবর পেয়ে গ্রামে গিয়ে পুলিশ ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে প্যাটেলনগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। বৃদ্ধার মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম সুনীল হেমব্রম ও ডাক্তার হেমব্রম। তাঁরা জামবুনিরই বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, আদিবাসী অধ্যুষিত দেউচার জামবুনি গ্রামের খেলার মাঠের কাছে একটি বেল গাছ আছে। সেই গাছে স্থানীয় লোক জন পুজো করেন। সেই গাছে নাকি মেয়েদের হাত দেওয়া বারণ। গ্রামের কিছু বাসিন্দা দাবি করেছেন, দিন কয়েক আগে ওই বৃদ্ধা বেল গাছে হাত দিয়েছিলেন। এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলা ঘুরতে ঘুরতে সেই বেল গাছের কাছে পৌঁছেছিলেন। তখনই গ্রামের কিছু মাতব্বর যুবক তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত মহিলার মেয়ে বলেন, ‘‘গ্রামের সকলেই মায়ের মানসিক সমস্যার কথা জানেন। তার পরেও বেলগাছে হাত দেওয়ার অভিযোগ তুলে ওরা মাকে ডাইন অপবাদ দিয়ে মারধর করে।’’ এরই মধ্যে বাসিন্দাদের একাংশ পুলিশে খবর দেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পুলিশকে দেখে ওই যুবকেরা পালিয়ে যায়। পরে দু’জনকে ধরে ফেলে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ওই বৃদ্ধাকে মারধরের ঘটনায় তাঁর ছেলেও অভিযুক্ত। পুলিশ ধরতে না পারলেও ঘটনার পরে ওই যুবক হাসপাতালে ভর্তি মাকে দেখতে গিয়েছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি।
ঘটনার কথা শুনে বিজ্ঞানমঞ্চের জেলা কার্যকরী সভাপতি জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দিনের পর দিন মেয়েদের ডাইনি অপবাদ দিয়ে যা ঘটছে, তা জাতীয় লজ্জা। এই লজ্জা দূর করতে সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষের এগিয়ে আসতে হবে।’’
কৃষি প্রশিক্ষণ। সরকারি ভর্তুকিতে কী ধরণের কৃষি যন্ত্রপাতি পাওয়া যায় এবং তা পাওয়ার উপায়ই বা কী— এমনই নানা কৃষি বিষয়ক পরামর্শ দেওয়ার জন্য এক দিনের কৃষক প্রশিক্ষণ শিবির হল সাঁইথিয়ার জগন্নাথপুর কিসান মাড্ডিতে। ব্লক এগ্রিকালচার টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং ফামার্স ইনফর্মেশন অ্যান্ড অ্যাডভাইসারি সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার ওই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। শতাধিক চাষি যোগ দেন। হাজির ছিলেন ব্লক সহ-কৃষি অধিকর্তা রাজীব হাজরা, ব্লক টেকনোলজি ম্যানেজার রূপকুমার সাহা মণ্ডল, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পার্থপ্রতিম ধর প্রমুখ। উদ্যোক্তারা জানান, কীভাবে অল্পমাত্রায় কীটনাশক এবং সার ব্যবহার করেও সুফল পাওয়া যায় সে বিষয়েও চাষিদের অবহিত করা হয়।